চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার গনমাধ্যম কর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা গেটে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কার্পাসডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ জলিল, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেন, সেক্রেটারি এস এম ওসমান, নাগরিক টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক, ইত্তেফাক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান ধীরু, সমকাল প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম, যায়যায়দিন প্রতিনিধি হাসমত আলী, এই আমার দেশ প্রতিনিধি এইচএম হাকিম, দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধি মহিবুল ইসলাম মুকুল, সাংবাদিক আব্দুস সামাদ, তানজিল ফয়সাল, মেহেদী হাসান মিলন প্রমূখ।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা আগামী সাত দিনের মধ্যে দূর্নীতিবাজ, চোর, সরকারি প্রনোদনার পেঁয়াজের বীজ আত্মস্বাতকারী এই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিলে উপজেলা কৃষি অফিস ঘেরাও সহ নানান কর্মসূচী গ্রহন করার হুশিয়ারি দেয়া হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাব, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব, কার্পাসডাঙ্গা প্রেসক্লাব, দর্শনা প্রেসক্লাব, জীবননগর প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস্ মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন দৈনিক জনতার ইশতেহারের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আতিয়ার রহমান।
উল্লেক্ষ্য, গত ২৪ জুন দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসে যান দৈনিক সকালের সময় এর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শামীম রেজা। এই সময় তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের কাছে গত অর্থবছরের রবি মৌসুমের সরকারি প্রনোদনার পেঁয়াজের ফলোআপ বীজ বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান। বদরাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কোন কারণ ছাড়াই সাংবাদিক শামীমকে অফিসের দরজা বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রেখে লাঞ্ছিত করেন এবং লাঠি দিয়ে পিটাতে উদ্যত হলে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও জেলা জুড়ে ভাইরাল হয়। পরে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে শামীমকে ছেড়ে দিলে শামীম দামুড়হুদা থানায় ঐ দিনই একটি জিডি করেন। এর আগেও কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবীকে হাত কেটে নেয়ার হুমকি দিয়ে কুক্ষ্যাতি অর্জন করেন।