চুুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর গ্রামের ইটের সলিং রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ গ্রামবাসীদের কাজে বাঁধা।
চুুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক :
চুয়াড়াঙ্গার সদরে কুতুবপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মাদ্রাসার আম গাছের পাশ হতে গ্রামের ভিতর পর্যন্ত হাফ কিলো মিটার ইটের সলিংয়ের কাজ চলছে,
তবে এক নাম্বার ইটের বদলে দুই নাম্বার ইট ও নিম্ন মানের বালি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, এতে গ্রামবাসীরা রাস্তার কাজে বাঁধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে।
গ্রামবাসীরা বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে, গতকাল বৃহস্পতিবার সত্যতা জানার জন্য, সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে ইটের সলিংয়ের রাস্তার জন্য এক নাম্বার ইটের বদলে দুই নাম্বার ভাঙ্গা, আদলা ও নরমাল ইট এবং নরমাল বালি দিয়ে কাজ করছে ঠিকাদার মোঃ সোনাহার মিয়া।
গ্রামবাসীরা রাস্তার কাজ বন্ধ করার অভিযোগ করেন, অভিযোগকারীরা হলেন কুতুবপুর গ্রামের যানা চৌধুরীর ছেলে বখতিয়ার চৌধুরী, মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে শাহাবুল হক, ছানোয়ার হোসেন, টুকুল মিয়া সহ গ্রামবাসী।
এদিকে ঠিকাদার সোনাহার মিয়ার সাথে ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করতে গেলে, ০১৭২৫৭০২৮০৯ নাম্বার ফোনটি কল ধরেনি।
তবে রাস্তার বিষয়ে সাব-কনট্রাকটর, মোঃ হিমেল হোসেনের সাথে কথা বললে, তিনি জানিয়েছে, যদি গ্রামবাসীরা কোন অভিযোগ করেন, সেক্ষেত্রে স্থানীয়, চেয়ারম্যান ও মেম্বারা এসে কাজ দেখেন, কাজ খারাপ হলে, তা হলে তাদের সিদ্ধান্তের উপরে ভিত্তি করে কাজ বন্ধ থাকবে।
এদিকে কথা বলা হয়েছে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুরজ্জামান মানিকের সাথে, তিনি বলেন, আমার কুতুবপুর ইউনিয়নের ত্রাণের বরাদ্দে ১ কিঃ মিঃ কাজ এসেছে, তবে কুতুবপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মাদ্রাসার আম গাছের পাশ হতে গ্রামের ভিতর পর্যন্ত হাফ কিলোঃ ও যাদুবপুর গ্রামের হাফ কিলোঃ , মোট ১ কিলোঃ মিটার, মোট বাজেট ৫৫ লক্ষ টাকা। রাস্তার কাজ আসে কনট্রাকটর
মোঃ সোনাহার মিয়ার কাছে,
তবে কুতুবপুর গ্রামের হাফ কিঃ মিটারের কাজ চলছে, রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার আগেই আমি প্রথমেই কন্টার সোনাহার কে বলেছি, আমার কুতুবপুর ইউনিয়নের কোন স্থানে কাজ আপনি খারাপ করবেন না, জনগণের কাজ কোন ক্রমেই খারাপ করবেন না।
আমার ইউনিয়নের কোন চাঁদাবাজ হবে না, কোন চাঁদবাজি কাউকে আপনাকে একটি টাকাও দিতে হবে না, তবে রাস্তার কাজ ভাল করবেন।
চেয়ারম্যান প্রতিবেদকে জানিয়েছে কনট্রাকটর সোনাহার মিয়া রাস্তার কাজ খারাপ করছে আমি শুনেছি, এক নাম্বার ইটের বদলে দুই নাম্বার ইট দিয়েছে, যে স্থানে মাঠি ও বালু দেওয়ার কথা সেখানে তিনি নরমাল বালু দিয়েছে।
কনট্রাকটর আমার কোন কথা শুনেনি, তিনি শুধু ধাঁন্দা করেই কাজগুলো ভালো করছে না, আমি নিষেদ করেছিলাম, তবুও কাজ ভাল করছে না।
এদিকে কুতুবপুর ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোখলেচুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে গেলে ফোনটি কল ধরে নি।
এবিষয়ে কথা বলা হয়েছে কুতুবপুর ক্যাম্পের এ এস আই মোঃ বশির উদ্দীনের সাথে তিনি প্রতিবেদকে বলেন , বিষয়টি আমাদের কাছে কোন কাগজ পত্র নেই, এবিষয়ে আমাদের কোন দায় দায়িত্ব নেই, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করলে ভাল হয়।
তবে আপনাদের নিউজ করেন কোনপ্রকার সমেস্যা দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনিক ভাবে আইনের মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকবো বলে জানিয়েছেন।