চুয়াডাঙ্গার খাড়াগোদা বাজারে আ.লীগ -যুবলীগের দু-গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ঘ আহত: ৬
এম লাবলু, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ খাড়াগোদা বাজারে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।ঘটনায় উভয়পক্ষের ৬জন আহত হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় লিটন নামের একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, সদর উপজেলার তিতুদহের গোস্টবিহার গ্রামের জহুরুল ইসলামের পূত্র পলাশের বোন জুঁই খাতুনের সাথে একই গ্রামের ভাটার পূত্র মুকুল প্রেমজ সম্পর্ক করে। এই ঘটনা সবার অজান্তে থাকে। ইতিমধ্যে তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশ তার বোনকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। এর কিছুদিন পরে মুকুলের সাথে পালিয়ে যায়।
পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের ডাকবাংলা থেকে ফেরত নিয়ে আসে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুকুলের পক্ষ নেয় একটি গ্রুপ। এতে উভয়পক্ষ রেষারেষি চলতে থাকে বেশকিছুদিন ধরে। এদিকে শুক্রবার বিকেলে যুবলীগ কর্মী রকি হোসেন লিটনকে থাপ্পড় দেয় খাড়াগোদা বাজারে। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে লিটন হোসেন ও শুকুর আলি সহ বেশকিছু লোকজন খাড়াগোদা বাজারে রাশেদুজ্জামান পলাশের ভাই শিমুলের কাছে গেলে উভয়পক্ষের মধ্য ব্যাপক সংঘর্ঘ বাঁধে। এতে লিটনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করে।
এছাড়াও আহত হয় ছয়বদ্দির পূত্র আহাদ আলি, রিয়াজদ্দির পূত্র ঝন্টু হোসেন, মৃত বুড়ো মেম্বারের পূত্র আদম। অপরপক্ষে আহত হয় রাশেদুজ্জামান পলাশ ও তার ভাই শিমুল হোসেন।
এ বিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন শোনার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তবে মামলা হলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পরিবেশ শান্ত আছে।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন ঘটনায় উভয়পক্ষের অসুস্থ আছে। লিটন নামেন একজন মারাত্মক ইনজুরিতে আছে। বাকি গুলোর অবস্থা মোটামুটি ভালো। আর মামলা প্রক্রিয়াধীন।