চুয়াডাঙ্গার নয় মাইল পশু হাটে বিক্রেতাদের মাথায় হাত
চুুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
ঈদ আসছে। মাত্র কয়েকদিন হাতে।এর পরই পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। প্রতিবছর এমন সময় বহুবিধ ব্যস্ততা চোখে পড়ে। ঘরে ঘরে চলে কোরবানির প্রস্তুতি।

তবে এবার তার উল্টো ছবি। ঈদ আসছে, আসছে বটে, উদ্যাপনে অত সাড়া নেই। সেই আনন্দ উধাও।
বিশেষ আগ্রহ বা কৌতূহল কারও মাঝে দেখা যাচ্ছে না। ব্যক্তি যেমন চুপসে গেছেন, তেমনি কাজ কমেছে সরকারের।
বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনাভাইরাসের কারণেই এমন পরির্তন। গোটা বিশ্ব কোভিড ১৯ পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
সংক্রমণ মৃত্যু কমছে না এখনও। বেশিরভাগ দেশেই লকডাউন অবস্থা চলছে।
বাংলাদেশে সীমিত আকারে সব খুলে দেয়া হলেও, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষও নিজ থেকে সচেতন।
এর বাইরে বহু মানুষ ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছে অনেকে। সে শোকও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। এসবেরই প্রভাব পড়তে যাচ্ছে আসন্ন ঈদে।
তবে থেমে নেই চুুয়াডাঙ্গার নয়মাইল বাজারের গুরুর হাটটি আজ ২৫/০৭/২০ ঈদের শেষ, শনিবার ছিলো সপ্তাহের গরুর হাট।
এদিকে উপচে পড়া ভিড় ছিলো গুরু হাটটিতে, ক্রেতাদের তুলনায় ভিড় ছিলো বিক্রেতাদের, তবে বড় বড় গরুর দাম কম ছিলো।
একজন বিক্রেতার সাথে কথা বলা হলে তিনি বলে নয়মাইল পশু হাটটিতে ঈদের শেষ হাট হওয়াও প্রচুর পরিমানে গরু জুটেছে, ক্রেতাদের সংখ্যা কম, তবে বিক্রেতা সংখ্যা বেশি থাকায়,
সঠিক দামে আমি আমার গরু গুলো বিক্রয় করতে পাচ্ছি না, বড় গরুটি ১ লক্ষ ৫০ হাজার মূল্য, তবে বাজার মূল্য পাচ্ছি ১ লক্ষ টাকা।
একজন গরু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলে বড় গরু দাম কম এবার ঈদে ছোট গরুর চাহিদা বেশি থাকায় আমরা ছোট গরু গুলো কিনতেছি, ৪০ / ৫০ হাজার টাকার মূল্য দামের গরু গুলো বিক্রয় হচ্ছে বেশি, তাই বড় গরু তুলনায় ছোট, ছোট গরু কিনে ঢাকাতে বিক্রয় করা হবে বলে জানায়।
এদিকে, ক্রেতার সংখ্যাও অন্য যে কোন বারের চেয়ে কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ইতোমধ্যে বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে নয়মাইল বাজারে গরু হাটটিতে উপচে পড়া ভিড় থাকা সত্তেও ছিলো না কোন মানুষের মুখে মাস্ক, সামাজিক দূরুত, নেই কোন স্বাস্থ্য প্রটেকশন।
একই রোগে কাছের মানুষেরা মৃত্যুবরণ করেছে। সুস্থরাও আছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। শরীর ও মনের সুস্থতরা ধরে রাখতে নিরন্তর সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের।
পাশাপাশি চাকরি ব্যবসা সব ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, উপার্জন কমেছে মানুষের। পশু কেনার সামর্থ্য নেই। কেউ কেউ কোরবানির অর্থ দান করে দিচ্ছেন গরিবদের মধ্যে।
সব মিলিয়ে ফিকে হয়ে আসছে ঈদের আনন্দ। চেনা ছবিটা এবার আর দেখা যাবে না। বেঁচে থাকা, নিরাপদে থাকাই এবার মূল চাওয়া।
সুস্থ থাকার নামই হবে ২০২০ সালের এবছরের ঈদের আনন্দময় মুহূর্ত।