চুয়াডাঙ্গায় অপহরণের ১২ ঘন্টার মধ্যে ফারহানকে উদ্ধার : আটক ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুধুমাত্র টাকার জন্যই ছোট্ট ভাতিজা ফারহানকে অপহরন করার পরিকল্পনা করে চাচা মুরগী সুমন। সে এই পরিকল্পনায় টাকার ভাগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডেকে নেয় সহযোগী শাওন, আকাশ ও খোরশেদকে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমনের হাত থেকে আকাশ ও খোরশেদ মোটরসাইকেলে করে ফারহানকে নিয়ে যায় আনন্দধাম ক্যানেলপাড়ায়। সেখানে ভাড়া বাড়িতে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল শাওন ও রাশেদা। ফারহানকে পেয়ে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়। পাহারায় থাকে শাওন ও রাশেদা।
এরপর মোবাইলে ফারহানের দাদা কাজি হারুনের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরনকারিরা। মুক্তিপণ না দিলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দিয়ে রাখে তারা।
অপহরনের মাস্টার মাইন্ড মুরগী সুমন ফারহানের পিতা কাজি সজিবের সাথেই ছেলে খোঁজার কাজে ব্যস্ত থাকে। সে সজিব ও পুলিশের সাথে থেকে সকল তৎপরতা অপহরনকারিদের জানিয়ে দিচ্ছিল। রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ বিষয়টা জেনে যায়। মোবাইল ট্র্যাকিং করে অপহরনকারিদের অবস্থানও জানতে পারে পুলিশ।
পুলিশ রাত ২ টার দিকে আকাশ ও খোরশেদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। এরপর ক্যানেলপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে অজ্ঞান ফারহানকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সাথে শাওন ও রাশেদাকেও আটক করা হয়। এ সময় অজ্ঞান ফারহানকে ফাতেমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আনা হয়।
এতকিছু আটক ও উদ্ধার পুলিশ এত গোপনে করে যে মাস্টার মাইন্ড মুরগী সুমন এর কিছুই জানতে পারে না। সে রাত ৩ টা পর্যন্ত ফারহানের পিতা কাজি সজিবের সাথেই মর্মাহত অবস্থায় ঘুরছিল। সবশেষে রাত ৩ টায় ফাতেমা হাসপাতালের সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ মুরগী সুমনকে আটক করে।
তবে অপহরনের সাথে আরও কয়েকজন জড়িত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপহরনকারিদের আরও একটি মোটরসাইকেল ও অন্যান্য আসামীদের ধরতে পুলিশ মাঠেই রয়েছে।
এডিশনাল এসপি (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীরকে। তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে এসআই সুলতানসহ থানার সব অফিসার শ্বাসরুদ্ধর ৭ ঘন্টার অভিযান পরিচালনা করে চার বছরের শিশু ফারহানকে জীবিত উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে আলমডাঙ্গার কলেজপাড়ার দন্তচিকিৎসক কাজি সজিবের চার বছরের শিশুপুত্র ফারহানকে অপহরন করে নিয়ে যায় অপহরনকারিরা। অপহরনের মাস্টার মাইন্ড মুরগী সুমন কাজি সজিবের আপন চাচাত ভাই।