আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গা ছয়ঘরিয়ার ডমপুর মাঠে ভ্যানচালক কিশোর হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ছয়ঘরিয়া গ্রামে ডমপুর মাঠে ভ্যানচালক কিশোর নয়ন (১৪) হত্যাকান্ডের অভিযুক্ত আসামী আশরাফুল আলমকে হরিনাকুন্ড থানার রঘুনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

ছয়ঘরিয়া গ্রামে কিশোর নয়ন হত্যাকান্ডের আসামী গ্রেফতার
পুলিশ সদস্যের মাঝে আসামী আশরাফুল

গত ইং ১২/১২/২০২০খ্রিঃ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় সংবাদ পাওয়া যায় যে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ছয়ঘরিয়া গ্রামের ডমপুর নামীয় মাঠে জনৈক গোলাম ফারুক, পিতা- আবুল কালাম আজাদ, সাং- ছয়ঘরিয়া, থানা ও জেলা- চুয়াডাংগা এর ফসলি ফাঁকা জমির পার্শ্বে পাকা সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ঝোপের কিনারায় একটি অজ্ঞাতনামা কিশোর(১৪) এর মৃত লাশ পড়ে আছে।

এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের নির্দেশে অত্র জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব কনক কুমার দাস, অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান ও অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স উক্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার করে লাশটি সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত সহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে লাশের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে না পাওয়ায় লাশটি মর্গে রাখা হয় এবং উক্ত হত্যা কান্ডের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে লাশের পরিচয় না থাকায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন সরোজগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত মৃত লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী এসআই গোলাম সরোয়ার এর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুত্রে বর্নিত মামলা রুজু করা হয়।

মামলার তদন্ত ভার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জনাব মোঃ একরামুল হোসাইন এর উপর অর্পন করা হয়। লাশটি সানাক্ত না হওয়ায় লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া লাশের পরিচয় সনাক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে রিপন হোসেন নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার।

তদন্ত কালে নিহত কিশোরের নাম নয়ন শাহ(১৪), পিতা- মৃত মিঠু শাহ, সাং- নৃশিংহপুর ফকির পাড়া, থানা-ইবি, জেলা- কুষ্টিয়া মর্মে নিশ্চিত ভাবে সনাক্ত করা হয়। অতঃপর মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিদের্শে অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ)/মোঃ একরামুল হোসাইন সহ এসআই মোঃ হাসানুজ্জামান সহ চুয়াডাংগা থানার একটি চৌকস টিম আলমডাঙ্গার প্রায় ১৫টি স্থান থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ পুর্বক পর্যালোচনা করেন এবং বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামী মোঃ আশরাফুল আলম ( ২৭) পিতাঃ মোঃ ইসলাম আলী, মাতাঃ মোছাঃ আবেদা খাতুন, সাং ঘোষবিলা মাঝেরপাড়া, থানাঃ আলমডাঙ্গা, জেলাঃ চুয়াডাঙ্গা কে সনাক্ত করেন। এছাড়াও মামলার ঘটনাস্থল হতে উদ্ধারকৃত ০৩টি স্যান্ডেল, খুনির স্ত্রী মোছাঃ রাহিমা বেগম কে দেখিয়ে খুনিকে সনাক্ত করা হয়।

খুনি আশরাফুল এর শ্বশুর দর্শনা থানাধীন বলদিয়া বাইনে পাড়া গ্রামের রিজাউল এবং তার শ্বাশুড়ি লতিফা বেগম এর মাধ্যমে জানা যায় যে, খুন করার পর দিন পাখিভ্যানটি ডিঙ্গেদহ বাজারে বিক্রয় করে। ১দিন পর জনৈক ব্যক্তি পাখি ভ্যানটি পুনরায় আসামীকে ফিরিয়ে দেয়। তারপর আসামীর শশুরের পরিচিত দর্শনা থানাধীন বলদিয়া বাইনে পাড়া গ্রামের মুরাদের সাথে পরামর্শ করে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার কোলা গ্রামের জনৈক গনজের এর নিকট ১৬০০০/- টাকায় বিক্রয় করে। ১০,০০০/-টাকা নগদ এবং ৬০০০/- টাকা বাকিতে। আসামী আশরাফুল ১০,০০০/-টাকা নিয়ে মামুন পরিবহনে করে ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা করে।

আসামী হরিনাকুন্ড থানার রঘুনাথপুর গ্রামে অবস্থান করে। ইং ১৮/১২/২০২০ তারিখ রাত্র অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় হরিনাকুন্ড রঘুনাথপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে খুনি আশরাফুলকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার ব্যবস্থা গ্রহণ সহ আসামি দোষ স্বীকার করতে চাইলে, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ মোতাবেক আসামি আশরাফুল আলম এর দোষ-স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মডাস অপারেন্ডি কর্মকৌশলঃ

পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে আসামি আশরাফুল আলম ডিসিজড নয়ন কে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন বলদিয়া বাইনে পাড়া গ্রামেতার শ্বশুর রেজাউলের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মামলার ঘটনাস্থল চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ছয়ঘরিয়া ডমপুর মাঠে নিয়ে গল্পচ্ছলে ১১/১২/২০ খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ০৭.৩০ টার সময় পরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ ঠান্ডা মাথায় ভ্যানে থাকা পুরাতন ব্যবহারী শাড়ির একাংশ দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে ডিসিজড নয়ন হত্যা নিশ্চিত করে।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার ছয়ঘরিয়া মাঠে ভ্যানচালক কিশোরের লাশ উদ্ধার।

হত্যা করার হত্যাকাণ্ডের কারণ বা উদ্দেশ্যঃ

আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যা করার দুটি কারণ তদন্তকালে উদঘাটিত হয়। প্রথমতঃ এই কিশোরের কাছে থাকা পাখি ভ্যানটি ছিনিয়ে নেওয়া এবং ভ্যানটি বিক্রি করে নগদ কিছু টাকা উপার্জন করা।

দ্বিতীয়তঃ আসামি আশরাফুল আলম এবং এই কিশোর নয়ন একে অপরের ঘনিষ্ঠ পরিচিত। তারা উভয়েই এলাকায় ভ্যান চালানোর সুবাদে অনুমান এক/ দেড় বছর যাবত একে অপরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। পরিচিত হওয়ার কারণে যাতে ভবিষ্যতে এই ভ্যান ছিনিয়ে নেওয়ার পরবর্তী সময়ে ডিসিজড নয়ন যাতে কাউকে বলে না দেয় সে কারণে তাকে হত্যা করা আসামীর জন্য অনিবার্য হয়ে পড়ে।

উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। ছিনতাইকৃত পাখি ভ্যান
২। (ছিনতাইকৃত পাখি ভ্যান টি) বিক্রয়লব্ধ নগদ ১০০০০(দশ হাজার) টাকা
৩। ঘটনাস্থল থেকে ০৩( তিন) টি স্যান্ডেল ও ডিসিজড এর গলায় পেঁচানো শাড়ির একাংশ।

সুত্রঃ চুয়াডাংগা থানার মামলা নং-১০, তারিখ- ১২/১২/২০২০খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।