চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জে স্কুলছাত্রীর ঘরের বেলকুনিতে রক্তঃ আহত অবস্থায় উদ্ধার।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক :
চুৃয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জ বাজার পাড়ার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শারমিন আক্তার মিম (১৩) কে পাশের বাড়ির পরিত্যাক্ত রান্নাঘর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশিগণ।
আহত শারমিন সরোজগঞ্জ বাজার পাড়ার কুয়েত প্রবাসী রফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় কন্যা।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় তিন তলায় তার নিজ শোবার ঘরে লেখাপড়া করছিল।
পরে তার মা তার রুমে গিয়ে খোঁজ করলে তাকে খুজে না পেয়ে ডাকাডাকি করেও সাড়াঁ না পাওয়ায় বেলকুনিতে তাকিয়ে দেখতে পায় অনেক রক্ত পড়ে আছে।
এ অবস্থা দেখে মীমের মা চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখতে পায় মীম ঘরে নেই এবং বেলকুনিতে রক্ত।
পরে সকলে মিলে মীমকে পাশের বাড়ির কাশিনাথ বাবুর পরিত্যাক্ত রান্না ঘর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মীমকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
পরে তার পরিবারের লোকজন তার গ্রামের বাড়ি নবীননগর পাঠিয়ে দেয়।
মীমের পরিবারসুত্রে জানাগেছে মীম আহত অবস্থায় বলেছে যে কে বা কারা তাকে পাশের বাড়ির ছাদে আসতে বলে এবং সে যায় ও পরে তাকে রান্নাঘরে নিয়ে যায়।
তারপর সে জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই শহীদ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং সবকিছুর নমুনা সংগ্রহ করে। এসআই শহীদ বলেন শুধু মীমের বেলকুনিতে না রক্ত পাশের বাড়ির মৃত আনন্দের ছাদে কিছুটা রক্তের নমুনা মিলেছে।
তবে এবিষয়ে কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি ও দ্রুত আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে এবং মীম সুস্থ্য হলে এর সঠিক তথ্য কাল পাওয়া যাবে।
এবিষয় নিয়ে সরোজগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়ের মানুষের মধ্যে নানা ধরনের ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।