ঝিনাইদহে ফসলি জমি ও সরকারি রাস্তা কুচক্র মহলের দখলে জেলা প্রশাসকের সু দৃষ্টি কামনা
ডেইলীবার্তা নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহে ফসলি জমি ও সরকারি রাস্তা কুচক্র মহলের দখলে জেলা প্রশাসকের সু দৃষ্টি কামনার অপেক্ষায় গ্রামের কৃষকেরা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না,সাধুহাটি ও মধুহাটি ইউনিয়নের ডহরপুকুরিয়া, বাদপুকুরিয়া, শ্যামনগর,নাথকুন্ডুসহ বিভিন্ন মাঠের আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করে রমরমা বালু ও মাটির ব্যাবসা করছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতারা। সুতরাং এতে করে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি,সরকারি রাস্তা ও বসত-ভিটা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রিমহনী থেকে বাজার গোপালপুর সড়কসহ, কারীর মোড়, ডহরপুকুরিয়া,বাদপুকুরিয়া উত্তর পাড়াসহ এলাকার আশপাশের সকল পাকা রাস্তার উপর মাটির আস্তর পড়ে আছে। অতিরিক্ত মাটি ও বালু বোঝাই অবৈধ চার চাকাওয়ালা হায়আনা ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তার বিভিন্ন জায়গা ভেঙে গেছে এবং ধুলায় রাস্তা দিয়ে পথচারীদের চলাচলের একবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এটা দেখা বা বলার মতো এলাকায় কেউ নেই।এতে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন এবং তার ছোট্ট ভাই মৃত্যু সাবেক চেয়ারম্যান মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে, সাগান্না ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ রুহুল আমিন বাদপুকুরিয়া যাদুপপুর সড়ক নব দোয়া নামক খালও পরের কিছু জমি জোর করে অল্প টাকার বিনিময়ে লিজ নিয়ে পুকুর( ড্রেজার দিয়ে) খননের জন্য মাটি বিক্রি করেছে বাদপুকুরিয়া ঠিকাদার আইয়ুব আলীর কাছে।
এদিকে একই ইউনিয়নের ডহরপুকুরিয়া গ্রামের ভূইয়ারা ও নাথকুন্ডু গ্রামের আবাদি জমি নষ্ট করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে পুকুর খনন করছে আর মাটি বিক্রি করছে পার্শ্ববতী বিভিন্ন ভাটাই।
আরও জানা গেছে, মধুহাটি ইউনিয়নের শ্যামনগরও বড় বাড়ি গ্রামের নছের আলীর ছেলে কসর আলী ও তার ভাগ্নে রিয়াজ ভেদুড়ির বিল নামক সরকারি খালও কিছু পরের জমি ক্ষমতার বলে নিয়ে বিশাল আকারের পুকুর খনন করছে এতে করে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পুকুর খনন করা এই কুচক্র মহলেরা কৃষক ও গ্রামের সাধারণ মানুষদের কাছে বলছে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই পুকুর খনন করার অনুমতি দিয়েছেন এমনি অভিযোগ ভুক্তভোগী কৃষক ও পথচারীদের।
সরকারিভাবে অনুমোদন না থাকা সত্বেও গত দু’মাসে প্রায় ১০-১৫ লক্ষাধিক টাকার মাটি ও বালু লুটের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। এ মন্তব্য এলাকাবাসীর। এই অভিযোগ,বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক আসার পরও কোন প্রকার সংবাদ প্রকাশ না হওয়ার কারণে সচেতন এলাকাবাসীর অভিযোগ রহস্যজনক কারনে এ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এলাকাবাসীর দাবি, যদি সম্মানিত ঝিনাইদহ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নেক দৃষ্টি দেন তাহলে হয়তো বা বন্ধ হতো বালু ও মাটি উত্তোলন । বেঁচে যেতে ফসলি জমি ও বসত ভিটা ও সরকারি রাস্তা।