টেকনাফে ৪২ লাখ টাকার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস : ২ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ জব্দ
জিয়াবুল হক, টেকনাফ:
দেশে মৎস্য প্রাণিসম্পদের সম্মৃদ্ধি ও সাগরে মৎস্য প্রজনন শক্তি বৃদ্ধির লক্ষে প্রজনন মৌসুমে সমুদ্রে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।
যা গত ২০ মে থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এরই মধ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে যাওয়ায় টেকনাফ বাহারছড়া জিসি আউটপোস্ট কোস্ট গার্ড কাউন্টিংজের কমান্ডার মাসুদ টিটুর নেতৃত্বে বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া ও কচ্ছকপিয়া নৌকারঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে অভিযান চালিয়ে নৌকার মাছ ও জাল জব্দ করে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকাল ৯ টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নৌকা নিয়ে জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ঘাট থেকে ২ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয় এবং ১ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
পুড়ানো জালের আনুমানিক মূল্য ৪২ লাখ টাকা। এসময় জেলেরা পালিয়ে গেলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানা ও গরীব অসহায় মানুষের মাঝো বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফের বাহারছড়া জিসি আউট পোস্টের কমান্ডার মাসুদ টিটু জানান, ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরার উপর সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে তা বাস্তবায়ন করতে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, কোন জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে মাছ ধরতে গেলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশক্রমে জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলাসহ বিভিন্নভাবে জরিমানা করা হবে।
এদিকে টেকনাফে গত ১লা জুন থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময়ে মৎস্য আহরণে বিরত থাকার জন্য উপজেলা ও পৌরসভার ৭ হাজার ৮৬০ জেলেদের মধ্যে ৫৭ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফ চাউল বিতরণ শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম।
পর্যায়ক্রমে উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়াও ভিজিএফের চাউল বিতরণ করা হচ্ছে।