তালায় দুই চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নদীর অবৈধ নেট পাটা অপসারণ
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
খাল বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাতক্ষীরার তালার পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালী ইউনিয়নের তেয়াশিয়া নদীতে সকল অবৈধ নেট-পাটা অপসার করা হয়েছে। পরিষ্কার করা হচ্ছে খালের শেওলা ও আবর্জনা। এর ফলে খালের পানির স্বাভাবিক গতি পেয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে খলিষখালী ইউনিয়নের গাছা জনেকের বাড়ীর ব্রীজ থেকে নদীতে অবৈধ নেটপাটা অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়।
খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান ও সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে নেটপাটা অপসারন কাজে অংশ নেন, খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পঙ্কজ রায়, ওসমান গনি, গনেশ বর্মন, সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাজিমউদ্দীন, আওয়ামীলীগ নেতা দিলীপ মন্ডল, অনিমেশ মন্ডল, মফিদুল ইসলাম, মোন্তাজ মোড়ল, আব্দুল গনি মাষ্টারসহ স্থানীয় সাধারন মানুষ।
চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান জানান, তেয়াশিয়া নদী দিয়ে সরুলিয়া ও খলিষখালী ইউনিয়নের বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। তেয়াশিয়া নদীর পানি শালিখা গেট দিয়ে কপোতাক্ষ নদে পড়ে। কিন্ত সম্প্রতি তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের টিআরএম প্রকল্পের বেড়ী বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ফলে তেয়াশিয়া নদীতে অতিরিক্ত পানির চাপ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে তেয়াশিয়া নদীতে অবৈধভাবে নেটপাটা দিয়ে মাছ ধরার কারনে সেখানে শেওলা জমে পানির প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পাটকেলঘাটার দক্ষিন বিলের ও অসংখ্য মহস্য ঘেরের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য বীজতলা প্রস্তুতসহ বোরো আবাদ অনিশ্চত হওয়ার আশংখ্য দেখা দেয়।
একারনে কৃষকদের মঙ্গলবার ভোর থেকে তেয়াশিয়া নদীর সকল অবৈধ নেটপাটা অপসারন কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথমদিনে গাছা জনেকের বাড়ীর ব্রীজ থেকে দলুয়া ব্রীজ পর্যন্ত তেয়াশিয়া নদীতে সকল ধরনের অবৈধ নেটপাটা অপসারন করা হয়।
এর ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দ্রুত হবে এমনটাই মনে করেন চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান। তিনি জানান নদীর শেওলা অপসারনের কাজও চলছে।