নাটেরে ‘বেপরোয়া জীবনযাপন’ বন্ধ করতেই স্ত্রীকে হত্যা
আমিরুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নাটোরের গুরুদাসপুরে গৃহবধূ রাখি বেগম হত্যাকান্ডের জড়িত স্বামী মোঃ মিলন ইকবালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাতুঁড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেপরোয়া জীবনযাপন বউকে শিক্ষা দিতেই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ঘাতক স্বামী।
রোববার(৬ জুন) বেলা ১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১লা জুন রাত ৮টায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের বিলব্যাসপুর পাট ক্ষেত থেকে গৃহবধূ রাখি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। রাখির পোশাক শ্রমিক স্বামী মিলন ইকবালর (৩৪) রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। রাখি বেগম তার চতুর্থ স্ত্রী। স্ত্রী বেপরোয়া জীবনযাপন করায় তাদের মধ্যে সাংসারিক কলহ চলে আসছিলো। এ কারনে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় মিলন।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার আগের দিন রাতে পোষাক শ্রমিক মিলন কৌশলে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুর অংশের ১০ নম্বর ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তায় নামেন তারা। স্ত্রীকে আত্মীয়ের বাসায় যাবার কথা বলে নির্জন পাটক্ষেতে নিয়ে হাতুরী দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন মিনল।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, মরদেহ শনাক্তের পর নিহত রাখি বেগমের ভাই মোরসালিন বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মিলনকে তার তৃতীয় স্ত্রীর গ্রাম গোদাগাড়ীর পাকড়ী থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে। মিলন তাঁর স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আক্তার,অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক,ওসি (তদন্ত) মনোয়ারুজ্জামান,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।