ফলোআপঃ ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়ার ভিসেরো রিপোর্ট ঢাকায় ।মোস্তাককে খুঁজছে পুলিশ
আমিরুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
নাটোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সুমাইয়া হত্যার অভিযোগে আটক শাশুড়ি ও ননদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ নিহত সুমাইয়ার শাশুড়ি সৈয়দা মালেক ও ননদ জাকিয়াকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলমের আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে মুল অভিযুক্ত সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক হোসেন ও শশুড় জাকির হোসেন এখনো পলাতক রয়েছে।
এদিকে সুমাইয়ার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্নয়ে তার ভিসেরা রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান নাটোর সদর হাসপাতালের আর এমও ডাঃ আমিনুল ইসলাম।
আলোচিত এ হত্যা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি নন তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মতিউর রহমান।
২২ জুন সকালে নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকার স্বামী গৃহে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনের।
পড়া শোনা ও বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরি সহ নানা বিষয় নিয়ে স্বামী গৃহে পারিবারিক নির্যাতনের মুখে ছিলেন মেধাবী এই ছাত্রী।
বাবা-মায়ের মাধ্যমে বেকার স্বামীর সব চাহিদা পূরনের পরও নিম্ন মানষিকতার কারনে সুমাইয়ার ওপর চলতো নানা নির্যাতন।
যার করনে দেড় মাস আগে নষ্ট হয় সুমাইয়ার গর্ভের ৭ মাসের সন্তান।জানান তার মা নুজহাত সুলতানা।
এ অবস্থায় সুমাইয়ার অস্বভাবিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা কেউ।চায় সঠিক তদন্ত।মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও মৃত্যুর পেছনে যারা জড়িত তাদের শাস্তি।