ফ্লাইট চালু নিয়ে প্রবাসীদের সুসংবাদ
করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই যাত্রীবাহী প্লেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরইমধ্যে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ফ্লাইট আবার চালু হলে প্রথমে প্লেনভাড়া কমলেও পরবর্তীকালে সেটি অন্তত ৫০ শতাংশ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) জানায়, প্লেন ফের চালু করতে আগ্রহী এয়ারলাইন্সগুলো। সে তুলনায় যাত্রী কম থাকায়, ভাড়া কমতে পারে।
তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে প্লেনে মাঝখানের আসন খালি রাখতে বাধ্য হলে, এয়ারলাইন্সগুলো ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হবে।
বর্তমানে সামাজিক দূরত্বের যে নির্দেশনা গুলো রয়েছে, তা মানতে হলে মাঝের আসন ফাঁকা রাখতে হবে। এতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হবে এয়ারলাইন্সগুলো।
আইএটিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১২২টি এয়ারলাইন্সের মধ্যে মাত্র ৪টি এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবে। ওই চারটি এয়ারলাইন্সেরও আর্থিক লাভ হবে না, শুধু খরচ টুকু উঠে আসবে।
বাকি এএয়ারলাইন্সগুলোর লোকসান হবে। এ অবস্থায় ফ্লাইট চালু রাখতে হলে ভাড়া বাড়াতেই হবে।যাত্রী না থাকায় এবং বেশিরভাগ ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যে লোকসান গুনছে এয়ারলাইন্সগুলো।
মঙ্গলবার ভার্জিন অ্যাটলান্টিক জানায়, তিন হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করতে এবং গ্যাটউইক এয়ারপোর্টে কার্যক্রম বন্ধ রাখতে যাচ্ছে তারা।
অন্য এয়ারলাইনগুলোকেও একই পথ বেছে নিতে হতে পারে। আইএটিএর প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্রায়ান পিয়ার্স বলেন, ‘কতগুলো এয়ারলাইন লাভজনক ভাবে কার্যক্রম চালাতে পারবে তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।
তবে এ শিল্প খুব ক্ষুদ্র হয়ে যাবে। ফ্লাইটে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন ব্রায়ান।
এদিকে তার দলের যুক্তি, প্লেনে মাঝের আসন ফাঁকা রাখলেই যে করোনা ভাইরাস ছড়াবে না তা নয়। তার বদলে প্লেনে যাত্রীদের
আরও পড়ুন: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি লক ডাউন
সুরক্ষায় মাস্ক পরতে বলা যেতে পারে বলে মনে করেন তারা।তবে আশার কথা হলো, ফ্লাইট চালু হলে চাহিদা বাড়ানোর জন্যই ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হবে।
যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ার আগ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তার মানে অন্তত ২০২১ সালের আগে সেটি হচ্ছে না।