আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

বন্যায় গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট

আমিরুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ

বন্যায় গো-খাদ্যের সংকটে পড়েছে নাটোরের বন্যা কবলিত উপজেলার বানভাসি মানুষ ও খামারিরা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ উঁচু বাঁধ ও রাস্তার ধারে বন্যা আক্রান্ত স্থান থেকে গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে সরাতে পারলেও পশুখাদ্য সরাতে পারেননি।
বন্যায় গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট
বন্যায় গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট

গবাদিপশুর একমাত্র খাদ্য খড় বন্যার পানিতে পচন ধরেছে, আবার কোথায়ও ভেসে গেছে। এ কারণে গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। তাছাড়া সরকারিভাবে কোনো ধরনের গো-খাদ্য সরবরাহ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন গবাদি পশুর মালিক ও জনপ্রতিনিধিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পানিবন্দি প্রতিটি পশুর জন্য দিনে এক কেজি দানাদার খাদ্য ও তিন কেজি খড়ের প্রয়োজন। এ জন্য ধানের খড়গুলো প্রতিটি কৃষক বাড়ির সামনে উঁচু করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সংগ্রহ করে রাখেন। কিন্তু বন্যার পানিতে গবাদিপশুর জন্য রাখা খড় নিমজ্জিত হয়ে পঁচন ধরায় গবাদিপশুর খাবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তারা।

বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বানভাসি মানুষজন তাদের গবাদি পশু নিয়ে বিভিন্ন বাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদি পশুদের পলিথিন কিংবা কাপড়ের তৈরি ছাউনিতে রাখছেন। গবাদিপশু চুরি কিংবা হারানোর ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।
কৃষক কোরবান আলী বলেন, নিজেরা কোনোরকম দুই বেলা খাবার পাইলেও গরুগুলার জন্য খাবার জোগাড় করতে পারছি না। চতুর্দিকে পানি, কোনো ঘাস নাই। গরুগুলার জন্য রাখা খড় পানিতে ডুবে গেছে। গরু নিয়া আমরা এখন খুব কষ্টে আছি।

বিভিন্ন এলাকার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নেওয়া গবাদি পশুর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার প্রায় মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে গো-খাদ্য সহায়তা পাননি। উচ্চ মূল্যে খড় কিনে এক বেলা, কোনোদিন দু’বেলা খাবার দিচ্ছেন। ফলে খাদ্য কষ্টে ভুগে স্বাস্থ্যহানি ঘটছে এসব গবাদি পশুর।

চারদিকে পানিতে নিমজ্জিত থাকায় প্রাকৃতিক কোনো খাবার জোগাড় করাও সম্ভব হচ্ছে না। খামারিরা চারণ ভূমি থেকে তাদের পশুর জন্যে খাবারের চাহিদা মেটাতো। বন্যা দেখা দেওয়ায় চারণ ভূমি বন্যার পানিতে ডুবে গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

নাটোরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার উপরে গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। গরুর সামনে রয়েছে কচুরিপানা। গো খাদ্য হিসাবে কচুরিপানা ব্যবহার করে গরু-বাছুর বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।

বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানান, ইউনিয়নে অনেক পরিবার গরু পালন করে। কিন্তু এবারের বন্যায় প্রায় সকল এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় এখানকার বেশিরভাগ পরিবার তাদের গবাদি পশুর খাবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।

গো-খাদ্য সংকটের কথা স্বীকার করে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় এখন পর্যন্ত গবাদিপশুর খাদ্য সরকারিভাবে বরাদ্দ নেই।

আমরা ইতিমধ্যেই মেডিকেল টিম করে বিভিন্ন উপজেলা গবাদিপশুর চিকিৎসা দিয়ে আসছি। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়েছি।