যৌবন আল্লাহর দেয়া অমূল্য নেয়ামত, হালাল পন্থায় উপভোগ করুন: মিজানুর রহমান আজহারী
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী সমাজে ধর্ষণ ও এ সংক্রান্ত অপরাধের কিছু কারণ উল্লেখ করে তার ভেরিফাইড পেজে পোস্ট দেন।
তিনি লিখেন, সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। বিয়ের সম্পর্ক যৌবনের সাথে, ক্যারিয়ারের সাথে নয়। ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে সারা জীবন। যৌবন আল্লাহর দেয়া এক অমূল্য নেয়ামত, যেটা নবায়নযোগ্য নয়। তাই যৌবনের শুরুতেই বিয়ে করুন এবং হালাল পন্থায় উপভোগ করুন।
অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থানের মতোই বিয়েও একটি মৌলিক অধিকার। এটি একটি সহজাত বিষয়, যেটাকে ইগনোর করার কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশে একটি ছেলে অথবা মেয়ে গড়ে পনেরো-ষোল বছর বয়সেই পরিপূর্ণ সেক্সুয়াল অ্যাবিলিটি লাভ করে থাকে। কিন্তু তারা বিয়ের পিড়িতে গিয়ে বসে আরো দশ-পনেরো বছর পর। এই লম্বা সময় ধরে যৌন ক্ষুধা নিবারণের কোনও বৈধ সুযোগ কি তাদের রয়েছে? না, নেই। উপরন্তু বিয়ের প্রশ্ন উঠলেই আসে সামাজিক যতো নিয়ম কানুনের দোহাই।
মিজানুর রহমান আজহারী আরও লিখেন, একটি মুসলিম সমাজে এটা অপ্রত্যাশিত, অমানবিক এবং সুস্পস্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। সন্তানের খাদ্য, শিক্ষা কিংবা চিকিৎসা ইত্যাদি চাহিদা মেটাতে, অভিভাবকগণ যতোটা সজাগ এবং সিরিয়াস, প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের বৈধভাবে যৌন চাহিদা মেটানোর বন্দোবস্ত করাতে তারা ঠিক ততোটাই উদাসীন। নানান অজুহাত, বাহানা আর সামাজিকতার দোহাই দিয়ে, বিয়েকে দিনকে দিন জটিল থেকে আরো জটিলতর করা হচ্ছে।
আসুন, আমরা অভিবাবকগণও আরো একটু মানবিকতার চর্চা করি। বৈধভাবে যৌন চাহিদা মেটানোর সুযোগকে, প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জন্য আরো সহজলভ্য করে তুলি। আমাদের অবহেলায়, আমাদের আদরের সন্তানেরা হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে, অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ তা-আলার দরবারে আমরা কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারবনা। তাই, আসুন সবাই মিলে- টাইমলি ম্যারেজকে “হ্যা” বলি, আর বিবাহ বহির্ভূত সকল রিলেশনশিপকে “না” বলি। বিয়েকে সহজ করুন, দেখবেন অশ্লীলতার সকল পথ আপনাতেই রুদ্ধ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আরও সংবাদ পড়ুন: অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বেসরকারি কলেজে আর অনুমোদন নয়।