আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

কানাইদিয়ায় মাদকসেবীদের আনাগোনা বন্ধ : স্বস্তিতে এলাকাবাসী

তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের দু’সহোদর মাদকব্যবসায়ী কপিলমুনি হতে পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকায়।
কানাইদিয়ায় মাদকসেবীদের আনাগোনা বন্ধ : স্বস্তিতে এলাকাবাসী
কানাইদিয়ায় মাদকসেবীদের আনাগোনা বন্ধ : স্বস্তিতে এলাকাবাসী

মাদকব্যবসায়ীদের অবাধ মাদক বাণিজ্য, মাদক কিনতে মাদকাসক্তদের বেপরোয়া পদচারনা আর গাঁজার উৎকট গন্ধ কানাইদিয়াবাসীর জীবন অতিষ্ট করে তুলেছিল।

গ্রামের মহিলারা মাদকাসক্ত বখাটেদের ভয়ে সবসময় তটস্থ থাকত, একপ্রকার গৃহবন্ধি হয়ে পড়েছিল তারা।
কিন্তু অপু রায়হান (৩০) ও দিপু রায়হান (২০) নামে দু’সহোদর মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ার পর বদলে গেছে কানাইদিয়ার চিত্র।

মাদক ব্যবসায়ীদের চোখ রাঙানি আর বখাটে মাদকাসক্তদের উৎপাতে অতিষ্ট এলাকাবাসী অনেকদিন পর মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরে পরম তৃপ্ত।
সূত্রে জানা যায়, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী অপু ও দিপু দু’ভাই মিলে গড়ে তুলেছিল মাদকের অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেট। ছোট ছোট মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক সাপ্লাই করত তারা।

বড় ভাই অপু তার ইজি বাইকে করে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে বিপুল পরিমান মাদক নিয়ে আসত। আর ছোট ভাই দিপু তা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দিত।

তাদের এ কাজে সহযোগীতা করতে এলাকার মাদকাসক্তদের সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছিল মাদকের আখড়া। পুলিশের সন্দেহ এড়াতে কোমলমতি শিশুদের কাজে লাগাতেও পিছপা হয়নি তারা।

উল্লেখ্য, গত ২৩-৫-২০ তারিখে পাইকগাছার কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ এসআই অভিজিত রায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার (২৩ মে) দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে কপিলমুনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে।

এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৪ বোতল ফেন্সিডিল, ১ শ’গ্রাম গাঁজা ও ৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। এব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার নং-২৩। তাং-২৩/০৫/২০।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইতিপূর্বে তারা মাদকদ্রব্য সরবরাহ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে কপিলমুনি ফাঁড়ির চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা এসআই অভিজিত রায় তাদের পিছু নেন। একপর্যায়ে তারা কপোতাক্ষের কপিলমুনি-কানাইদিয়া বাঁশের সাঁকো পার হয়ে কানাইদিয়ায় পার হয়ে যায়।

তবে পুলিশ তাদের পিছু নিলে তাদের কতিপয় সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অভিযান চালানোর সময় তাদের উপর সংঘবদ্ধ হামলা করে পালিয়ে যায়।

এদিকে পাইকগাছার কপিলমুনি প্রেসক্লাবে অপু-দিপু’র বাবা শেখ শাহাজুল ইসলাম ও মা হোসনেয়ারা বেগম গত ৩-৬-২০ তারিখ সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, তাদের দুই সন্তানকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাদক মামলায় ফাসানো হয়েছে।

তারা কখনই মাদক ব্যবসা কিংবা মাদক সেবনের সাথে জড়িত নয়। কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অভিজিত রায়ের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তার দু’সন্তান।

এব্যাপারে এসআই অভিজিত রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্য হিসাবে আমি আমার কর্তব্য পালনে সবসময় সৎ ও আন্তরিক থাকার চেষ্টা করেছি।

অপু-দিপু এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী একথাপ ওপেন সিক্রেট। এলাকার সবাই তাদের রমরমা মাদক ব্যবসা সম্পর্কে অবগত আছেন।

গত ২৩-৬-২০ তারিখে গোপন তথ্যে জানতে পারি অপু ও দিপু মাদক সরবরাহ করতে কপিলমুনি জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

আমি আমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের সেখান থেকে আটক করি। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ বোতল ফেন্সিডিল, ১ শ’গ্রাম গাঁজা ও ৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শীরা সবিশেষ অবগত আছেন।

এলাকাবাসী দুর্ধর্ষ এই মাদকব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।