আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

শিরোনাম:

চুয়াডাঙ্গা নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে নাটকিয়তা : বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চুয়াডাঙ্গার সদরে পদ্মবিলা ইউনিয়নের নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে চলছে নানানভাবে নাটকীয়তা। রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান গ্রুপের ও আওয়ামী লীগেরই বিরোধীদলের দুই গ্রুপের মধ্যে চলছে স্কুলের সভাপতি ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে চলছে নানান ভাবে নাটকীয়তা যার কারণে ভোগান্তি পথে স্কুলের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

এদিকে গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের ডেইলীবার্তা প্রতিবেদক সরোজমিনে গিয়ে দেখেন যে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা সহ সকল শিক্ষকেরাই উপস্থিত থাকলেও তিনজন ছাত্রছাত্রী, বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এক সপ্তাহ ধরেই এই বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী আসছে না,শিক্ষিকারা এই কমিটি নিয়ে অনেক কিছু জানলেও এই প্রতিবেদকের সামনে বলতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে শিক্ষিকারা। তবে কারণটি জানতে গেলে শিক্ষিকরা জানিয়েছে এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়ে নফরকান্দি ও হোগলডাঙ্গা দুইটি গ্রামের রাজনৈতিক ভাবে দুই গ্রামের মধ্যে এই কমিটি নিয়ে ধোঁয়াশা চলছে। পূর্বের যে কমিটি ছিল সে কমিটির বিলুপ্তির হওয়ার পরেই, পদ্মবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম হোসেনের দলীয় লোকজনের মাধ্যমেই নতুন কমিটি তৈরি করেই সভাপতি করতে যাচ্ছেন, এদিকে আওয়ামী লীগের বিরোধী লোকজন ও এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত দাতা সদস্যরাই নতুন এই কমিটিকে মেনে নিতে পারছেন না যার কারণে নফরকান্দি ও হোগলডাঙ্গা গ্রামের লোকজন এই কমিটি কে নিয়েই নানান ভাবে নাটকীয়তা তৈরি করছে। চেয়ারম্যান আলম হোসেনের লোকজন দাবি করছেন কিছু পক্ষ আমাদের এই যে নতুন কমিটি করতে যাচ্ছি এই কমিটি মানতে যাচ্ছেন না যার কারণে দুই গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসতে চাচ্ছে তবে কিছু লোকজন ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে বাধা দিচ্ছে যার কারণে এই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে পারছে না।

এদিকে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যরা জানিয়েছেন নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অপসরণের জন্য দুই গ্রামের লোকজন লিখিত ভাবে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। লিখিত দরখাস্তে দেওয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদরে পদ্মাবিলা ইউনিয়নের নফরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসরণের প্রসঙ্গে। জনাব যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিবেদন এই যে, আমরা অত্র বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য এবং নফরকান্দি ও হোগলডাঙ্গা গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আপনার অফিসের উপস্থিত হয়ে নফরকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নাই। প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে প্রতিদিনই ঝগড়া-বিভেদে লিপ্ত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে আশপাশের মাঠের কর্মজীবী মানুষ ও পথচলা সাধারণ মানুষ এটা নিয়ে প্রতিদিনই সমালোচনা করেন। প্রধান শিক্ষকের আচরণ যদি এমন হয় তাহলে আমাদের সন্তান কি শিক্ষা পাবে শিক্ষাই শিক্ষিত হবে। এটা সর্বস্তরের মানুষের প্রশ্ন। এমন অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে ভর্তি করাবে বলে অধিকাংশ অভিভাবক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

নফরকান্দি ও হোগোলডাঙ্গা গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকগণ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও সাধারণ জনগণ যারা স্বাক্ষর করেন, মিজানুর রহমান, আরিফ হোসেন, তারিক হোসেন, বেলাল হোসেন, শাহাজান, আরিফ, লিটন সহ গণস্বাক্ষরে ৫৭ জন এ স্বাক্ষর করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও অফিসার বরাবর আবেদন করেছে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যরা । এদিকে বিদ্যালয়ে সপ্তাহখানেক ধরে ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে না আসায় শিক্ষকরা চরম ভোগান্তি পড়েছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের অফিসে ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে মীমাংশুর জন্য হাজির হয়েছিলেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম হোসেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও চুয়াডাঙ্গা সদর শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন সহ অভিভাবক মিটিং করছেন।

এই মিটিং এর কি সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন এর সাথে কথা বলা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানিয়েছে এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে আমরা কোন আলোচনা হয়নি আমরা বিদ্যালয়ে এসেছি আমরা জানতে পেরেছি যে এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা আসেন না কারণটি জানতে চাই এসেছি তবে গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি সাতজন ছাত্র-ছাত্রী আমরা পেয়েছি। তবে আমরা ম্যানেজিং কমিটির বিষয়ে কোন আলোচনা করতে আসেনি বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে এসেছি এবং এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকেরাই বড় ধরনের কোন সমস্যায় জড়িত আছে কিনা সেসকল বিষয়ে আমরা জানতে এসেছি, কমিটির বিষয়ে আমরা কোন ধরনের মন্তব্য করব না, তবে এই বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির লোকজন সহ স্থানীয় ও চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখবেন এর বেশি কিছু না।

এদিকে কথা বলা হয়েছে বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষিকা শাহীন ফারহানের সাথে তিনি জানিয়েছে এ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা চলছে যার কারণে হোগল ডাঙ্গা ও নফর কান্দি গ্রামের লোকজন তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয় আসতে দিচ্ছে না, এই বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র ছাতি সংখ্যা ১১৫ জন, তার মধ্য গত মঙ্গলবার ছাত্রছাত্রী চার পাঁচ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তবে এর বেশি কিছু।

এদিকে কথা বলা হয়েছে পদ্মাবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম সাহেবের সাথে তিনি প্রতিবেদককে জানিয়েছে মূলত হোগলডাঙ্গা ও নফর কান্দি গ্রামের রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে দুইটি দলের মধ্য কমিটি নিয়ে ঝামেলা চলছে, ইতোমধ্যে দুই গ্রামের সদস্যদের নিয়ে এবং আহসান হাবিব কে সভাপতি বানিয়ে আমাদের মাননীয় এমপি মহোদয় জনাব সোলায়মান হক জোয়াদ্দার সেলুনকে জানিয়েই ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি করা হয়েছিলো, তবে আওয়ামী লীগের সরকারি ও বিরোধী ও দলের লোকজন এই কমিটি মানতে চাইনি যার কারণে গত সপ্তাহে দুই গ্রামের লোকজন বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে ঝামেলা চলছে। তবে আমি মীমাংশু করার চেষ্টা করেছিলাম ২ গ্রামের লোকজনদের কে নিয়েই এই কমিটি করা হচ্ছে।
এদিকে বিরোধী দলের লোকজন বলছেন নির্বাচনীয় মাধ্যমেই এই স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত করতে হবে।

এদিকে কথা বলা হয়েছে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মইনুদ্দিন এর সাথে তিনি জানিয়েছে এই ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে অনেক ঝামেলা চলছে তবে আমি এই ঝামেলার ভিতরে যেতে চাচ্ছি না, এদিকে তিনি জানিয়েছে চেয়ারম্যানের লোকজনকেই নিয়েই এই কমিটি করা হয়েছে, তবে চেয়ারম্যান এই সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং তিনি মীমাংশ করছেন, চেয়ারম্যানই এই কমিটি নিয়ে খেলছে। আমি এর ভিতরে থাকতে চাচ্ছি না, তবে গতকাল মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের লোকজন আমাকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন অফিসে মিটিং আছে এজন্য আমি এসেছি এর বেশি কিছু ন।