আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

শিরোনাম:

চুয়াডাঙ্গায় বাবার প্রমিকার সাথে ছেলের বিয়ে: স্ত্রীর বিষপান

স্বামী পরকীয়া করেন এই অভিযোগে দাম্পত্যকলহের পর বিষপান করেছেন হনুফা বেগম নামের এক নারী। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঘাস নিধনের বিষ খেয়েছেন হনুফা, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চুয়াডাঙ্গায় বাবার প্রমিকার সাথে ছেলের বিয়ে: স্ত্রীর বিষপান

শনিবার (২ জানুয়ারি) বিষপান করেন হনুফা। হনুফার স্বামী চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুলের (৫০) বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেছেন হনুফা বেগমের মা।হানুফা বেগমের মা বলেন, আমার মেয়ের স্বামীর পরকীয়ার কারণে অতিরিক্ত টেনশনে বিষপান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো।

এদিকে, ওই শিক্ষক জহুরুল তার স্ত্রীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করছেন সাংবাদিকদের কাছে। জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের প্রাক্তন এক ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষক মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুল ইসলাম। সেই সুবাদে ওই ছাত্রী জহুরুল ইসলামের স্বশুরবাড়ি দৌলতদিয়াড়ে প্রায় যাতায়াত করত। একপর্যায়ে জহুরুল ইসলামের ছেলে শুভর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এ বিষয়টি তার মা হানুফা বেগম জানতে পারায় ছেলের সঙ্গে গোপনে ওই মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দেন। এতেই স্বামী জহুরুল ইসলামের সঙ্গে তার মনোমালিন্য শুরু হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো বলে জানান স্থানীয়রা। একপর্যায়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হানুফা বেগম বিষপান করে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন।

হায়দারপুর গ্রামবাসীর অভিযোগ, জহুরুলের গ্রামের বাড়ি হায়দারপুরে কাজ করতেন হানুফা। কাজ করার সুবাদে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এরপর বিয়েও করেন তারা। কিন্তু জহুরুলের পরিবার বিষয়টিকে মেনে নেয়নি। এ কারণে হানুফা তার বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলতদিয়াড়ে থাকতেন।

দৌলতদিয়াড়ে জহুরুল মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন। বেশিরভাগ সময় তিনি নিজ গ্রাম হায়দারপুরে অবস্থান করতেন। জহুরুল তার স্ত্রীকে তালাকের ভয় দেখিয়ে তিনি অনৈতিক কাজ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।জানা গেছে এর আগে ওই শিক্ষক ২০০৭ সালে নিজ গ্রাম ও একই বিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সে সময় মিটিয়ে নেন তিনি।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নববর্ষ উদযাপন করতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু।

এ বিষয়ে শিক্ষক জহুরুলের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, হানুফা নামে এক নারী সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন বিষপান করা অবস্থায়। প্রথমে তার শরীরের পাকস্থলী থেকে সেটি ওয়াশ করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত সদর থানার এ এসআই শাহিন বলেন, বিষপান করে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বর্তমানে অজ্ঞান অবস্থায় আছেন তিনি। বিষয়টি থানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।