আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে দাখিল মাদ্রাসার গাছ বিক্রি : টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর দারুল ইহসান দাখিল মাদ্রাসার প্রায় আড়াই লাখ টাকার ১২টি লম্বুগাছ গোপনে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

ঝিনাইদহে দারুল ইহসান দাখিল মাদ্রাসার গাছ বিক্রি : টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঝিনাইদহে দারুল ইহসান দাখিল মাদ্রাসার গাছ বিক্রি : টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিক্রিত ব্যাক্তির দাবি, এই জমি তারা মাদ্রাসার নামে দিয়ে ছিলেন। এখন প্রতিষ্ঠানটির ক্লাসরুম গুলো নষ্ট হয়ে বেশ কয়েক বছর শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাই এখন এই জমির মালিক তারাই।

কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়েক বছর আগে প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রতিষ্ঠানের সেমিপাকা টিনের ছাউনি ঘরের চাল উড়ে গেলে অর্থের অভাবে আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তবে পাঠদানের কার্যক্রম চালাতে তারা গত বছরও চেষ্টার কমতি ছিল না।

কিন্তু বাঁধা ঘরের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের জমিতে কলা বাগান আবাদ করা।
বাজার গোপালপুরের মহসিন নামের এক ব্যাক্তি এই জমিতে আবাদ করছেন।
তিনি দাবি করেন, জমি দাতার খালাতো ভাই জনৈক মন্টুর নিকট থেকে বছর চুক্তিতে জমি লিজ নিয়ে কলা আবাদ করেছেন। এখন প্রতিষ্ঠান চালু করতে হলে বাগানের মুল্য দাবি করেন।
ফলে জমিতে আবাদ করায় প্রতিষ্ঠান চালু করা সম্ভব হয়নি। এবছর আবাদ না করার কথা বললেও নতুন করে আবার ঝামেলা করার চেষ্টা করছেন।

প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারি রিয়াজ আহম্দে ও জেনারেল প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম অভিন্ন ভাবে বলেন, ১৯৯৮ সালে দারুল ইহসান দাখিল মাদ্রাসাটি ৭৫ শতাংশ জমির উপর গোপালপুর মওজায় প্রতিষ্ঠান করা হয়।
এসময় প্রতিষ্ঠাটির জমির চারপাশে বিভিন্ন গাছ লাগনো হয়। দীর্ঘদিনেও মাদ্রসাটি এমপিও ভুক্ত হতে পারেনি।

২০১৪ সালে মাদ্রাসাটি সর্বশেষ দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই বছরই প্রাকৃতিক দূর্যোগে ঝড়ে প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল গুলো উড়ে যায়।
এরপর আর্থিক সংকটসহ নানা সমস্যায় আর ঘর মেরামত করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর পাশ্বর্বতী প্রতিষ্ঠান গুলোতে চলে যায়।
এরপরও পাঠ্যকার্যক্রম চালাতে চেষ্টার কমতি নেই। গত বছরও চেষ্টার কমতি ছিলনা।

কিন্তু বাঁধা ঘরের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের জমিতে কলা বাগান আবাদ করা।
মহসিন আলি নামের ব্যাক্তি দাবি করেন, তিনি জমি দাতার খালাতো ভাই জেলার মহেশপুরের ফতেপুর গ্রামের জনৈক মন্টু নামে ব্যাক্তির নিকট থেকে জমি লিজ নিয়ে আবাদ করছেন। সে সময় মহসিন আলি খরচসহ কলা বাগানের মুল্য দাবি করে।

ফলে প্রতিষ্ঠান চালু করা যায়নি। তবে এবছর ওই জমিতে আর আবাদ করার কথা ছিলনা।
কিন্তু বর্তমানেও জমিতে আবার বিভিন্ন ফসল করার চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানের মুল্যবান গাছগুলো স্থানীয় কাঠ ব্যাবসায়ি বিল্লাল ও বিশার নিকট জনৈক মন্টু গোপনে বিক্রি করে কেটেছেন।

গত সোমবার গাছগুলো নিয়ে যেতে আমরা বাঁধা দিলেও তাদের কথা, খাবাপ আচরন করে জোরপূর্বক নিয়ে গেছে।
স্থানীয় সহকারি ভুমি কর্মকর্তাকে জানানোর পরও কোন ফল পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনৈক মন্টু বলেন, জমিটা আমরাই মাদ্রসার নামে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে মাদ্রসায় চলে না। তাই এ জমিতো এখন আমাদেরই।
তবে গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন।
ব্যবসিয়রা বলেন, তিনি নিজের গাছ বিক্রি করবে বলে জানান। তাই আমাদের সুবিধা মত গাছ কিনেছি।

তবে এক শতক জমিদানকারি মরহুম খন্দকার মনোয়ার হোসেনর ছেলে আরিফুল আকবার আরা বলেন, আমি গাছ বিক্রি করতে নিশেধ করে ছিলাম।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপ্রতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আব্দুল মোমিন মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ঘরসহ নানা সমস্যায় চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে গাছ বিক্রির কথা লোক মুখে শুনেছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ২নং মধুহাটি ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোখলেচুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে দুপুরের পর ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলাম।
মাদ্রসার পাশে তাদের আরও জমি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গাছগুলো তাদের জমির সীমানায়। তাছাড়া মাদ্রসার পক্ষে কেউ জমির কাগজ দেখাতে পারেনি।
এছাড়া জমিতে মরিচসহ অন্য ফসল নতুন ভাবে করা হচ্ছে বলে দেখেছেন।

তবে মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ করে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার সময় তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানানো হয়। কিন্তু কোন কর্ণপাত করেননি।
আর ২.৫৯ টায় তিনি ফোন দিয়ে মাদ্রাসায় আসছেন বলে জানান এবং শিক্ষকদের জমির কাগজ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হতে বলেন।

এবিষয়ে এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। বিষয়টি এখনই সমাধান না হলে আরও বড় ধরনের ঝামেলায় এলাকাবাসি জড়াতে পারেন বলে সচেতন জনগণ মনে করছেন। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর আশা করছেন শিক্ষানুরাগি গ্রামবাসি।