আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

টেকনাফ হোয়াইক্যংয়ে ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত

জিয়াবুল হক, টেকনাফ প্রতিনিধি:

কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনার জেরধরে ছুরিকাঘাত হাইস্কুল ছাত্র চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

জানা যায়,গত ১১ জানুয়ারী শনিবার রাত সাড়ে ১১টারদিকে কক্সবাজার হতে চমেক যাওয়ার পথে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা এলাকায় পৌঁছলে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনার দিনমজুর ছৈয়দ মিয়া প্রকাশ চাইন্দার ছেলে এবং হোয়াইক্যং আলহাজ্ব আলী-আছিয়া স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র জসিম উদ্দিন (১৬) মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল হয়ে মর্গে প্রেরণ করা হয় বলে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক হারুন অর রশিদ সিকদার নিশ্চিত করেন।

হোয়াইক্যং আলহাজ্ব আলী-আছিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল চৌধুরী মুসা বলেন, নৃশংসভাবে স্কুল ছাত্র খুনের সুবিচার কামনা করে অবিলম্বে ঘাতককে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। এই ব্যাপারে স্কুলের নির্ধারিত কর্মসুচী পালিত হবে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারী বিকাল ৪টারদিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আমতলী ঘোনার বখতার আহমদের পুত্র খাইরুল বশর (১৭) খেলার মাঠে খেলার সময় ৩/৪ জন শিশুকে মারধর করে। যা নিয়ে এলাকায় হৈ চৈ সৃষ্টি হয়। পরদিন ১১ জানুয়ারী বিকালে একই সময়ে মনিরঘোনার দিন মজুর ছৈয়দ আহমদ প্রকাশ চাইন্দার স্কুল পড়ুয়া ছেলে জসিম উদ্দিন খাইরুল বশরকে সামনে পেয়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিশুদের এই ধরনের মারধর করা ঠিক হয়নি বলে জানায়। তখন খাইরুল বশর রেগে তোকেও মারলে কি হইছে বলে উপযুপুরি ছুরিকাঘাত করলে সে রক্তাক্ত ও মুমুর্ষ হয়ে পড়ে যায়। স্বজনেরা বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাশ্ববর্তী এনজিও হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান হতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চমেকে নেওয়ার পথেই সে মারা যায়। তার পরিবারে ৩ভাই ও ২বোনের মধ্যে সে সবার বড় ছেলে ছিল। এদিকে নিহত স্কুল ছাত্রের পিতা রাঙামাটিতে দিন-মজুরের কাজ করতে গিয়ে আদরের ছেলের নৃশংস ঘটনার খবর পর্যন্ত জানতে পারেনি।

এব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্ব প্রাপ্ত আইসি আরিফুল ইসলাম জানান, খেলাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সুত্রপাত এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ঘাতককে আটকের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।