ডাকবাংলার কাঁচা বাজার ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানান্তর
সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলার বৃহত্তর কাঁচা বাজার বৃহঃপতিবার ১৬ এপ্রিল থেকে ডাকবাংলা আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস যখন মহামারী রুপে বিস্তার লাভ করেছে, অব্যাহত রয়েছে মৃত্যুর মিছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব ঠিক রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ।
তার অংশ হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এবং করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধ কল্পে সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির উদ্যোগে সাধুহাটি ইউনিয়নের ডাকবাংলা বাজারের কাঁচা বাজার ১৬ এপ্রিল বৃহঃপতিবার থেকে আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থানান্তর করেছে লোকাল প্রশাসন।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার এই বাজার কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায় ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বৃহঃপতিবার সকাল থেকে ডাকবাংলার কাঁচা বাজার আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজ মাঠে চলছে ।
কাঁচা বাজারের ক্রয়-বিক্রয় সামাজিক দূরত্ব ঠিক রেখে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য সাজিয়ে বসেছেন ক্রেতারা ও তাদের দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার চেষ্টা করছে ।
ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং ও করতে দেখা গেছে ।
কথা হয় কাঁচামাল ক্রয় করতে আসা মাস্টার শরিফুল ইসলাম ও চাউল ব্যবসায়ী আঃ হাকিম মিয়ার সাথে, তারা জানান প্রশস্ত মাঠে কাঁচা বাজার আসার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে।
বাজার স্থানান্তর করার বিষয়ে সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন,
দেশে যেভাবে করোনাভাইরাস বিস্তার লাভ করছে তাতে করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে না পারলে ভাইরাস আমাদের দেশে মহামারী রূপ ধারণ করতে পারে।
এরই উপর ভিত্তি করে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ডাকবাংলা বাজারের কাঁচা বাজার ডিগ্রি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে বসানো হয়েছে।
এবিষয়ে ডাকবাংলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজিব শেখ বলেন,
পূর্বে যেখানে বাজার বসত সেখানে কোন অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয় বিক্রয় করা যেত না। এজন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবার সম্মতি ক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন,
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে বাজার স্থানান্তর করার পিছনে যারা ভূমিকা রেখেছেন আমি তাদের কে সাধুবাদ জানাচ্ছি এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালচনা করছি।