আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

শিরোনাম:

নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ

আমিরুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
নাটোর শহরের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতারের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের কাছে চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা জানান, বাবুল আখতারের লোকের হাতে তাদের প্রতিদিন ১’শ টাকা তুলে দিতে হচ্ছে। না হলে দোকান তুলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবুল আখতার। তিনি জানান,টয়লেটে নারীরা আসতে বিব্রতবোধ করে। তাই আমি তাদের দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলেছি। আমি ভাড়া বা চাঁদা চাননি।

নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ
আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ

সরজমিনে দেখা যায়, নাটোর পৌরসভার বড় হরিশপুরের গোলচত্বরে পাশে নাটোর পৌরসভার পাবলিক টয়লেট। আর শহরের ব্যস্ততম এই চত্বরকে ঘিরে সড়ক ও জনপথের জায়গায় জীবনের ঝুকি নিয়ে চা পান, ফলমূলের ব্যবসা করে আসছে চারজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এসব দোকানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে টয়লেট থেকে। ৩৮ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা নিয়ে এসব দোকানের তিনটি থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে আদায় করতে টয়লেটের ইজারাদার যুবলীগ কর্মী স্বাধীন এর নিয়োজিত আব্দুস সালাম। সম্প্রতি এই পাবলিক টয়লেটের দিকে নজর পরে কোটিপতি পরিবহন ব্যবসায়ী ও নবগঠিত ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতারের। তিনি চলতি বছরের শুরুতে নাটোর পৌরসভা থেকে পাবলিক টয়লেটটি ৭০ হাজার টাকায় ইজারা নেন।। শুক্রবার তিনি দোকানের মালিকদের ডেকে দৈনিক ১০০ টাকা হারে ভাড়া দিতে নির্দেশ দেন এবং টয়লেটসহ ৪ টি দোকান দৈনিক ১ হাজার ৩০০ টাকা চুক্তিতে জনৈক ওমর আলীকে ভাড়া দেন। সচেতন এলাকাবাসীর প্রশ্ন গোলচত্বরের টয়লেটে কি এমন মধু আছে যে, কোটিপতি ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতার টয়লেট ইজারা নিতে হবে। দিনমজুর শ্রেনীর মানুষ ব্যস্ততম মহাসড়কের পাশে জীবনের ঝুকি নিয়ে সড়ক ও জনপথের জায়গায় চা পান এবং ফলমূলের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছে।

টয়লেট ইজারা নিয়ে ফুটপাথের দোকান থেকে টাকা আদায় কি চাঁদাবাজি নয়? টয়লেটে দায়িত্বরত ৭ বছরের এক শিশু জানান, বাবুল আখতার এর কাছ থেকে দৈনিক ১হাজার ৩ শ টাকা চুক্তিতে তার বোন জামাই ওমর আলী নিয়েছে। শনিবার থেকে তারা ভাড়া দিচ্ছে। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও দৈনিক ১শ’ টাকায় সকাল ৭ টা সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টয়লেটে দায়িত্ব পালন করতে হয় এই শিশুটাকে। টয়লেট লাগোয়া চা দোকানী জানান, এতোদিন দৈনিক ৬০ টাকা করে দিতাম যুবলীগ কর্মী স্বাধীনকে । কাল থেকে নতুন ইজারাদার আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আখতার আমার ১২০ টাকা আর বাঁকি তিনটি দোকান ১০০ টাকা করে দিতে হবে বলে চাঁদাবাজীর অভিযোগ জানিয়েছে। না দিলে এখান থেকে দোকান তুলে দিবে । তাই বাধ্য হয়ে দিচ্ছি। অপর চা দোকানী জানান, “জোর যার মুল্লুক” তাঁর। তিনি আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সেক্রেটারী। অনেক ক্ষমতাধর ।। আমরা দোকান দেয় সড়ক ও জনপথের জায়গায়। তিনি পাবলিক টয়লেট ইজারা নিয়েছেন। সড়ক ও জনপথের জায়গা নয়। এটা তো রীতিমত চাঁদাবাজি।। সেখানকার নামপ্রকাশে অনইচ্ছুক একজন একজন ফল ব্যবসায়ী জানান, পাঁচ বছর যাবৎ ব্যবসা করছি এখানে। কোন দিন আমাকে একটি টাকা দিতে হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আখতার ইজারা নেওয়ার পর শুক্রবার ওয়ার্ড আওয়ামী কার্যালয়ে আমাদের ডেকে ১০০ টাকা করে ভাড়া দিতে বলেছে। আমরা কাল থেকে দিচ্ছি। না দিয়ে উপায় নেই।

আরও পড়ুর : চুয়াডাঙ্গায় বাবার প্রমিকার সাথে ছেলের বিয়ে: স্ত্রীর বিষপান

তাঁর অনেক ক্ষমতা।। আমরা প্রতিবাদ করলে রোজগারের পথটি বন্ধ হয়ে যাবে। আর টাকার জন্য এ হীন কাজ নেই যে তিনি করতে পারেন না। নাটোর পৌরসভার সচিব সালাউদ্দীন জানান, ২০২০ সালে ৩৮ হাজার টাকায় টয়লেটটি ইজারা দেয়া হয়েছিল। এবার বাবুল আখতারকে পৌরসভা ৭০ হাজার টাকায় পাবলিক টয়লেটটি ইজারা দিয়েছে। সড়ক ও জনপথের জায়গা তো আমরা ইজারা দিতে পারিনা।

আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল আখতার জানান,আমি সবেমাত্র লিজ নিয়েছি। এখন পর্যন্ত টয়লেটটি বুঝে পাইনি। আসলে এ দোকানগুলোর জন্য টয়লেটে নারীরা আসতে বিব্রতবোধ করে। তাই আমি তাদের দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলেছি। আমি ভাড়া বা চাঁদা চাইনি। এটা মিথ্যা বানোয়াট চাঁদাবাজীর অভিযোগ । দ্বিগুন মূল্যে ইজারা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি আমার কথা রেকর্ড করতে পারেন। দেখা করেন সামনাসামনি বলে ফোন কেটে দেয়।। নাটোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বড় হরিশপুর গোল চক্করে ব্যাস্ততম মহাসড়ক ঘেষে গড়ে তোলা দোকানগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।। আমরা খুব শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান চালাবো।