আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

শিরোনাম:

ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পে ফুল ও ফলের বাগান

সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ভেতর যে দিকেই তাকাই, সে দিকেই বিচিত্র ফুল ও ফলের সমারোহ।
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প ফুল ও ফলের বাগান
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প ফুল ও ফলের বাগান
ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা পুলিশ ক্যাম্প যা এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে ক্যাম্পের পরিবেশে।
এ ছাড়াও দৃষ্টি নন্দন বাউন্ডারির ভেতর রয়েছে সবজি বাগান।

সেখানে চাষ করা হয়েছে পালং শাক, লাল শাক, টমেটো, বেগুন, ধোনিয়া পাতা, পুইশাক, ভেন্ডি, মিষ্টি কুমড়া এবং বাজারের সব চাইতে আলোচিত পিয়াজসহ নানা রকমের সবজি।
যা দিয়ে প্রায় ক্যাম্পের সব সদস্যর মেটানো হচ্ছে প্রয়োজনীয় চাহিদা।

অনেকেই ক্যাম্পে যেয়ে তরকারি রান্না করার জন্য তুলে নিয়ে আসছেন সবজি।
ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোখলেছুর রহমানের উদ্যোগে ক্যাম্পের ভেতর গড়ে তোলা হয়েছে নানা ধরনের ফুল, ফল ও সবজির বাগান।

এই বাগানে ফুটেছে নানান প্রকৃতির ফুল। তার মধ্যে রয়েছে গাঁদা, ডালিয়া, পাতা বাহার, ইরানি গোলাপ, কাটমারি, চায়না রোজ ইত্যাদি।
এছাড়াও লাগানো হয়েছে লেবু, পেঁপে, পেয়ারা, কাঠাল, আম, ডালিমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট মাসে মোখলেছুর রহমান ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পে যোগদান করেন।
তারপর থেকে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়ে ক্যাম্পের ভেতর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা শুরু করেন।

স্থানীয়রা বলেন,মানুষ মনে করত পুলিশ সারা দিন শুধু চোর-ডাকাত ও আসামির পেছনেই ছোটে ক্যাম্পের প্রতি তাদের আলাদা একটা এই ভীতি ছিল।
এ ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প দেখে মানুষের ভীতি দূর হচ্ছে।

এ ক্যাম্পের পরিবেশ দেখে মানুষ এখন বুঝতে পারে,সারাদিন আসামি ধরার কর্মব্যস্ততার পরও পুলিশের একটা সুন্দর মনও থাকে।
ডাকবাংলা ক্যাম্পের ভেতরে এত সুন্দর একটা ফুলের বাগান তৈরি করে ডাকবাংলাবাসীর মনে জমা পুরোনো ধারনাটির পরিবর্তন করে দিয়েছেন আমাদের ক্যাম্প ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান স্যার।
তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মতো।

এ বিষয়ে ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোখলেছুর রহমানের কাছে এমন একটি মহৎ উদ্যোগ ও তার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ডেইলীবার্তাকে জানান,
আমি ডাকবাংলা ক্যাম্পে যোগদানের পর চিন্তা করলাম, ক্যাম্পের ভেতর খানা-খন্দে থাকার কারণে প্রথমেই কয়েক গাড়ি মাটি দিয়েছি এবং
এমন একটি জায়গায় ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্প যেখানে ঢুকতেই ডান হাতে পড়ে ডাকবাংলা আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজ।
তাই এই ক্যাম্পটি যদি অপরিষ্কার থাকে তাহলে ডাকবাংলাবাসীর ও ডাকবাংলা আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজের দুর্নাম হবে।

এরপর থেকে আমি ডাকবাংলা ক্যাম্পটি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করি।
একদিকে ডাকবাংলাবাসীসহ ডাকবাংলা আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজের সম্মান ও পুলিশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে এই ক্যাম্পে আমার সহযোদ্ধাদের সহযোগিতায় আমি পুলিশ ক্যাম্পটি সুন্দর্য্য বৃদ্ধি করতে শুরু করেছি। এ উদ্দোগ গ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত।