আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা। টাইগারদের দেয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ বল হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।

বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ২ উইকেটে বাংলাদেশকে হারায় শ্রীলঙ্কা। টাইগারদের হারিয়ে তারা জায়গা করে নিয়েছে টুর্নামেন্টের সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা।

এ দিন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টাইগারদের দেয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই উইকেট না হারিয়ে রানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন দুই লঙ্কান ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস। ইনিংসে ৬ষ্ঠ ও ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া ইবাদত হোসেন।

নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ফেরান পাতুম নিসাঙ্কাকে। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নিসাঙ্কা। ১৯ বলে ২০ রান করে ফিরেননিসাঙ্কা। এরপর একই ওভারের শেষ বলে ইবাদতের শিকার হন চারিত আসালাঙ্কাও। সাজ ঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ১ রান করেন আসালাঙ্কা। তবে ৩ বার জীবন পেয়ে ক্রিজের এক দিক আঁকড়ে ধরে রাখেন কুশাল মেন্ডিস। নিয়মিত স্কোর বোর্ডে রান সংখ্যা বাড়াতে থাকেন তিনি।

ইবাদতের ৩য় শিকার হন দানুস্কা। ৬ বলে ১১ রান করে ইবাদতের বলে তাস্কিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার দলীয় ৭৭ রানের সময় পতন হয় ৪র্থ উইকেটের। এ সময় তাসকিনের শিকার হন ভানুকা রাজাপাকসে। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি।

এরপর অধিনায়ক শানাকাকে নিয়ে রান তারা করতে থাকেন ওপেনার কুশাল মেন্ডিস। তবে ৩৭ বলে ৬০ রান করে মুস্তাফিজের শিকার হন এ ব্যাটার। এর কিছু সময় পরেই হাসারাঙ্গাকে সাজ ঘরে ফেরান তাসকিন। ইনিংসের ১৮তম ওভারে অধিনায়ক শানাকাকে সাজ ঘরে ফেরান মেহেদি হাসান। ঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক।

এরপর লঙ্কান ব্যাটার কারুনারত্নকে রান আউট করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এর আগে ১০ বলে ১৬ রান করেন তিনি। তবে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার থাকলেও ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতেই জয় পায় লঙ্কানরা।

বাংলাদেশের হয়ে ইবাদত ৩টি, তাসকিন ২টি, মুস্তাফিজ ও মেহেদি ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কম রানের বৃত্ত আর মন্থর ব্যাটিংয়ে আটকে থাকা বাংলাদেশ অবশেষে খোলস পাল্টায়। মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেনদের মতো তরুণদের ব্যাটে বড় লক্ষ্য দেয়া গেছে শ্রীলঙ্কাকে। ২০ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮৩ রান।

ব্যাটিংয়ের শুরুতে ভিন্ন এক ওপেনিং জুটি দেখছে বাংলার কোটি ভক্ত। মিরাজ-সাব্বিরের ওপেনিংয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ।

প্রথমবার ওপেনিং করতে নামা সাব্বির রহমানের সাথে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মিরাজ। সাব্বির ফিরলেও তার আগ্রাসী ব্যাটিং চলছিল লঙ্কান বোলারদের ওপর।

শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরিয়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২৬ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেছেন এই ওপেনার।

ফের ব্যর্থ মুশফিকুর রহমান। ব্যক্তিগত ৪ রানে যখন ফেরেন তখন দলীয় সংগ্রহ ৬৩। এর পর কিছুটা স্থিতিশীলতায় থাকে বাংলাদেশ। ১১তম ওভারে ২২ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাকিব।

৮৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৩৭ বলে ৫৭ রান তোলেন আফিফ হোসেন। যতক্ষন উইকেটে ছিলেন আফফি ততক্ষন আগ্রাসী দেখা গেছে তাকে। ২২ বলে ১ ছক্কা, ১ চারে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন মাধুশাঙ্কার বলে ক্যাচ দিয়ে।

মাহমুদউল্লাহ এদিন শুরুতে ধীরে ব্যাট চালালেও শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ২ চারে করেন ২৭ রান। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ৯ বলে ২৪ এবং তাসকিন আহমেদের ৬ বলে ১১ রানে ভর করে দুবাই স্টেডিয়ামে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও চামিকা করুণারত্নে। ১ উইকেট করে নেন দিলশান মাধুশাঙ্কা, মাহেশ থেকশানা ও আসিথা ফার্নান্দো।