আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

সারাদেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন ৪ দফা দাবিতে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে চার দফা দাবিও জানিয়েছেন তারা। দাবি আদায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া কমপ্লিট শাটডাউন চলবে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সারাদেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন
সারাদেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সমাবেশে এসব দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শাটডাউনের আওতায় দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তারদের সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ থাকবে। এছাড়া বন্ধ থাকবে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও জরুরি অপারেশন।

তারা বলেন, দেশের সব জাতীয় বিপর্যয় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশের সর্বস্তরের নার্সরা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সমুন্নত রেখেছেন। বিভিন্ন সময় নার্সদের তাদের কর্মস্থলে অতর্কিত হামলা এবং লাঞ্ছনার শিকার হওয়া সত্ত্বেও রোগীদের স্বার্থে সার্বিক চিকিৎসা সেবা চলমান রেখেছেন। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলায় একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্য সেবাকর্মীদের মধ্যে ভয়, আতংক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে এবং স্বাভাবিক নার্সিংসেবা তথা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত নার্সিংসেবা প্রদানের লক্ষ্যে চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তারা চার দফা দাবি পেশ করে। দাবিগুলো হলো:

১. হাসপাতালের মতো একটি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যে সব ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

২. নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আর্মড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর (ভিজিটর কার্ডধারী) ব্যতীত বহিরাগত ব্যক্তি বা মহল কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না, স্বাস্থ্য পুলিশের (আর্মড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

  1. হাসপাতালে রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসঙ্গতি/অবহেলা পরিলক্ষিত হলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ প্রদানের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে, কোনোভাবেই আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

এদিকে গতকাল শনিবার (৩১ আগস্ট) নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।

পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা।

নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। দোষীদের শনাক্ত করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে আলটিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।

এ ঘটনায় রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন তারা