আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

সিংড়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা জুতা পেটা করে মিমাংসা

নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ

নাটোরের সিংড়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক জুতা পেটা করে মিমাংসা করে দেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।

এলাকাবাসী জানায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলা চামারী ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের গৃহবধূ(৩৫) সোমবার সন্ধ্যায় ধান কাটা শ্রমীক ঠিক করে বাড়িতে ফিরছিলেন।

এ সময় তাকে একা পেয়ে গ্রামের জেকেরের ছেলে জেহাদ এবং দেলবরের ছেলে চাকু দেখিয়ে এবং মুখ চেপে ধরে বাঁশঝাড়ের ভিতরে নিয়ে গিয়ে রুবেল ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে জেহাদ এবং রুবেল পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি গ্রাম্য প্রধানদের জানালে ইউপি সদস্য ফারুক এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন একটি বৈঠক ডেকে জুতার বাড়ি দিয়ে মীমাংসা করে দেয় বলে জানিয়েছে ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ।

থানায় অভিযোগ দেননি কেন এমন প্রশ্নে ওই গৃহবধূ জানান, রুবেল আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেনের ভাগ্নে এবং অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে থানায় যাননি তিনি।

এর আগেও ওই দুইজন একটি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করে তারও কোনো বিচার হয়নি। ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক জানান, বিষয়টি সোমবার রাতে ঘটায় তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।

পরে জেহাদ এবং রুবেলের অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে একটা মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, অভিযুক্তরা অল্প বয়সী হওয়ায় তাদের এই শাস্তি দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন জানান, ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবারে একটি সালিশ ডাকা হয়।
সেই সালিশে বাদীর জবানবন্দি শুনে এবং সাক্ষী রহিমের বক্তব্য শুনে কোন দোষ প্রমাণ হয়নি।

আরও পড়তে : নাটোরে খাদ্য সহায়তা নিতে এসে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শ্রমিকরা

তার পরেও আমরা ওই দুই ছেলেকে ওই মহিলার পা ধরে ক্ষমা চাওয়া এবং জুতার বাড়ি দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছি।