আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

ঈদে নাটোর জেলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ: ফের ‘হার্ডলাইনে’ পুলিশ

আমিরুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নাটোর জেলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ফের ‘হার্ডলাইনে’ যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা পুলিশ।

হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের কাচিকাটা টোলপ্লাজায় নাটোর জেলা পুলিশ কর্তৃক চেকপোস্ট ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে এই কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

রোববার (১৭ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বহাল থাকবে বলে নাটোর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মধ্যরাতে এই কার্যক্রমের বেশ কয়েক ছবি দিয়ে ‘হার্ডলাইনে’র ইঙ্গিতও দিয়েছে পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন ব্যতীত অন্যান্য সকল যানবাহন নাটোর জেলায় প্রবেশ রোধে জেলার সীমানায় প্রবেশ করলে সেখান থেকেই ফেরত পাঠানো কার্যক্রম কঠোরভাবে জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১০ এপ্রিল সকাল থেকে প্রথমবারের মতো বনপাড়া-হাটিকুমরুল, নাটোর-বগুড়া ও নাটোর-পাবনা ও নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের নাটোর জেলার মুখে অবস্থান নিয়ে সকল ধরণের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ।

সেদিন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে তল্লাসী চালাচ্ছে।
নাটোরে জরুরি প্রয়োজনের যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে জেলার সব উপজেলা পর্যায়ের সড়কেও যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৮ এপ্রিল নাটোরের তিন উপজেলায় একসাথে হানা দিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।
সেদিন প্রথমবারের মতো এক সাথে ৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ৮ জনের মধ্যে নাটোর সদরের ছাতনী ইউনিয়নে ১ জন, গুরুদাসপুরের নাজিরপুরে ২ জন ও সিংড়া পৌর এলাকায় ৫ জন ছিলেন।

এর মধ্যে সিংড়ার নুরুদ্দীন (নুর মোহাম্মদ) করোনা শনাক্তের আগেই মারা যান। কিন্তু তার পরিবার তথ্য গোপন করে লাশ দাফন করতে গেলে সিংড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়।
পরে সেই নমুনা করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)।

এর পরদিন ২৯ এপ্রিল নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অল্টারনেটিভ মেডিসিন (আর্য়ুবেদীয় চিকিৎসক) করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন।

এছাড়া গত ৪ মে লালপুর হাসপাতালের টেলি মেডিসিন সার্পোটিং ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন (পারভেজ) করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

এছাড়া গত শুক্রবার ৮ মে নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালের একজন অপারেশন থিয়েটার (ওটি) সহকারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরদিন ৯ মে লালপুরে করোনায় আক্রান্ত হন আরো এক ব্যক্তি।

এছাড়া গত ১২ মে নাটোরের লালপুর উপজেলায় আরো এক জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে কর্মরত।

তবে বাড়ি ঈশ্বরদীতে। এনিয়ে জেলায় মোট ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হল।
এর মধ্যে সিংড়ায় সাগর নামের এক গার্মেন্টসকর্মী করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।