আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

তালায় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সুদিন ফিরেছে হালিমার পরিবারে

তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা

দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সম্পত্তি সংক্রান্ত, কাউকে উত্যক্ত করা, শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ, ক্ষতিপূরণ আদায়সহ নানা ধরণের বিবাদের সমাধান দিয়ে আসছে।
তালায় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সুদিন ফিরেছে হালিমার পরিবারে
তালায় গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সুদিন ফিরেছে হালিমার পরিবারে

গ্রামীণ জনপদে ন্যায় বিচার আদায়ে নামমাত্র খরচে ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলার সমাধান মিলছে এখানে। ফলে থানা-পুলিশ বা আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা থেকে রেহাই মিলছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর।

এমনি ভাবে গ্রাম আদালতের মাধ্যমেই নিজের জীবনের গতিপথ ফিরিয়ে এনেছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার হালিমা বেগম। সে উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ফলেয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম মোড়লের স্ত্রী।

হালিমা বেগম এখান থেকে ৭ বছর আগে একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কাছে পঁচিশ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল। তবে এই ধার দেওয়ায় যেন তার বড় অন্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারন তার ধার দেওয়া টাকাটা অবশেষে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ফেরৎ পেতে হয়েছে।

হালিমা বেগম তার ধার দেওয়া টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য তালার মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত গ্রাম আদালতে মামলা করেন।
পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৩শে নভেম্বর মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বরদের নিয়ে গ্রাম আদালত বসিয়ে হালিমার টাকা তার কাছে হস্তান্তর করেন।

টাকা ফেরৎ পেয়ে হালিমা বেগম তার স্বামীর জন্য একটি ইঞ্জিন ভ্যান ক্রয় করে দেন। সেখান থেকেই তার জীবনের গতিপথ ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হয়। বর্তমানে এক ছেলে এবং স্বামীকে নিয়ে স্বচ্ছল একটি পরিবার তার।

হালিমা বেগম বলেন, গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আমি টাকা ফেরৎ পেয়ে খুবই খুশি আজ আমার একটা ভালো অবস্থান তৈরী হয়েছে। আমি এখন খুব ভালো ভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনতিপাত করছি।

এবিষয়ে মাগুরা গ্রাম আদালতের সহকারী ডলি আক্তার জানান, প্রায় ৫ মাস আগে আমাদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে তার টাকাটা ফেরৎ দেওয়া হয়।

হালিমা বেগম ছাড়াও আরো অনেক অসহায়, দরিদ্র, ভুক্তভোগী পরিবারকে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আমরা সহযোগীতা দিয়ে আসছি।