প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা সেই তরুণীকে ভারতে ফেরত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এক ভারতীয় নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় সীমান্তের শুন্য রেখায় অনুষ্ঠিত এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সাথী সরকারকে (১৭) হস্তান্তর করা হয়।
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ এসআই নাঈম জানান, ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে আসেন ভারতের নদীয়া জেলার তাহেরপুর থানার রাধাকান্তপুর গ্রামের সাথী সরকার। ইন্টারনেটে গেম খেলতে গিয়ে ভার্চুয়ালি পরিচয় হয় বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারগাড়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে ওমর আলীর সঙ্গে। এরপর প্রেম হয়। এক পর্যায়ে দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে আসেন বাংলাদেশে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ঘর বাঁধে ওমর আলীর সঙ্গে। এরপর মেয়ের খোঁজ জানতে পারে সাথীর সরকারের বাবা পরিতোষ সরকার। তারপর তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় তাহেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নেয় বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস। ৩/৪ মাস সংসার করার পর হঠাৎ একদিন পুলিশ এসে আটক করে নিয়ে যায় সাথী সরকারকে। অপরাধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ। তারপর সাথীর জায়গা হয় কুষ্টিয়া জেলার নারী পুর্নবাসন কেন্দ্রে। সেখানে ১১ মাস ছিলো সাথী।
রবিবার দুপুর ১২টায় দর্শনা বন্দর সীমান্তের শুন্যরেখায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনারের ডেপুটি কনস্যুলার দেবব্রত চক্রবর্তী, বিএসএফের গেদে কোম্পানী কমান্ডার এসি নাগ্রেন্দ্র পাল, গেদে ইমিগ্রেশন অফিসার সন্দীপ তেওয়ারি, কাস্টমস অফিসার অজয় নারায়ন রায়, প্রশান্ত কুমার ঘোষ, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি বাপিন মূখার্জি, ডিআইবি সাধন মন্ডল প্রমুখ।
বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বিজিবির আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, হাবিলদার সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) জহির উদ্দিন, দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ এসআই নাঈম, এসআই মাহমুদ, দর্শনা থানার এসআই সোহেল রানা, কুষ্টিয়া ডিএসবির আবু তারেক, দর্শনা কাস্টমস কর্মকর্তা মোফাজ্জেল হোসেন, মোর্শেদ আলম প্রমুখ।