ইয়াবাসহ মাদক গডফাদার ইদ্রিসের ভাই শামসুল আলম আটক
জিয়াবুল হক, টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ তিন রাস্তার মাথা বাজার থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ইয়াবাসহ এক যুবককে আটক করেছে ফাঁড়ির পুলিশ।
আটককৃত যুবক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের পুত্র শামসুল আলম (৩০)। বর্তমান ঠিকানা দক্ষিণ ডেইল পাড়া এলাকায়।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ১৩ মে বুধবার বিকালের দিকে সন্দেহজনক এক যুবককে বাজারে ঘুরাঘুরি করতে দেখলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পরবর্তীতে শাহ পরীর দ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক বিশ্বাস বাজারে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সামনে উক্ত যুবককে তল্লাশী করে।
এসময় তার পকেটে মুড়ানো ৪০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
আটক যুবক শাহ পরীর দ্বীপের বেশ কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির উদ্দ্যশ্যে এই ইয়াবা নিয়ে আসছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দ্বীপক বিশ্বাস।
তিনি আরো জানান, আটক যুবককে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, মামলা শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং আটককৃত যুবকের দেয়া ভাষ্য অনুযায়ী খুচরা ব্যবসায়ীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, ইয়াবাসহ আটক যুবক মাদক গডফাদার ইদ্রিস প্রকাশ লেবার ইদ্রিসের ছোট ভাই শামসুল আলম। তারা বিগত ৫/৭ বছর আগে মাঠি কাটা, পান বরজ, লবনের মাঠে দিন মজুর হিসাবে কাজ করত।
ইয়াবা ব্যবসার টাকায় আবদুল হাকিমের ছেলে ইদ্রিসের চলাফেরা বদলে যায়। এবং বর্তমানে দক্ষিন ডেইল পাড়া এলাকায় এক প্রভাবশালীর আশ্রয়ে আছে বলে জানা যায়।
সেই ইদ্রিস বহু বার পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডের হাতে ইয়াবাসহ আটক হলেও এখনো সেই প্রভাবশালীর চত্রছায়া অধরা থেকে গেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন! টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিন ডেইল এলাকা একটি শান্ত এলাকা হিসাবে পরিচিত ছিল, সেই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আশ্রয় দাতা প্রভাবশালী ব্যক্তির কারনে শান্ত এলাকা এখন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে।
এই এলাকায় যেসব ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনের নামে ভাঙ্গিয়ে যারা টাকা নিয়ে ইদ্রিসগনদের মত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের প্রকাশ্যে চলাফেরা করার সুযোগ করে দিয়েছে।
কে এই মাদক ব্যবসায়ী ইদ্রিসগনদের আশ্রয়দাতা, ইয়াবাসহ আটককৃত যুবকের কাছ থেকে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারনা করেছে এলাকাবাসী।