আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

খাবারের জন্য পুলিশকে ঘেরাও করল পাখির ঝাঁক!

প্রায় নিস্তব্ধ চুয়াডাঙ্গা শহর। চারদিকে সুনসান নীরবতা। মানুষের কোলাহল নেই। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ এখন ঘরবন্দি।
খাবারের জন্য পুলিশকে ঘেরাও করল পাখির ঝাঁক!
খাবারের জন্য পুলিশকে ঘেরাও করল পাখির ঝাঁক!

দোকানপাট, হোটেল, রেস্টুরেন্ট সবকিছু বন্ধ। শহরের হোটেল-রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে দিন কাটত যেসব পশু পাখির, তারা এখন অভুক্ত।

খাবারের জন্য এবার সেই পাখিরা পুলিশকে ঘেরাও করেছে।

চুয়াডাঙ্গার এমন একটি ঘটনার ভিডিও বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল পেজে শেয়ার করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শতশত শালিকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পুলিশকে ঘিরে ধরেছে।

কিচিরমিচির শব্দে খাবার প্রত্যাশা করছে পুলিশ সদস্যের কাছে। পরে পুলিশ সদস্য কিছু খাবার ছিটিয়ে দিচ্ছেন অভুক্ত পাখিগুলোকে। যা খেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে পাখিগুলো।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জাহিদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘শহরের বড় বাজারের শহীদ হাসান চত্বর দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের এক সার্জেন্টকে খাবারের জন্য ঘিরে ধরে পাখিগুলো।

পরে ওই পুলিশ সদস্য অভুক্ত পাখিগুলোকে খাবার খাওয়ান। করোনা পরিস্থিতির কারণেই পাখিরা খাদ্য সংকটে পড়েছে। এর আগে এমনটি দেখা যায়নি।’

আগেও খাওয়ানো হতো জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আগেও খাওয়াতাম। ওখানে (শহীদ হাসান চত্বর) একটি পুলিশ বুথ আছে।

লকডাউনে গাড়ির চাপ কম, মানুষের আনা-গোনা নেই। তাই না খেয়ে আছে পাখিগুলো। আমি বলে দিয়েছি, এখন থেকে পাখিগুলো মাঝে মাঝেই খাবার দেয়া হবে।

প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হচ্ছে জানিয়ে এসপি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ক্ষুধার্ত মানুষকেও খাওয়াচ্ছি।
এই অবস্থায় অনেক মানুষ না খেয়ে থাকছেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তাদের পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি।

জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন পাচ্ছি অনেকে না খেয়ে রয়েছেন। কিছুক্ষণ আগেও ফোন পেলাম ‘ন্যাংটা পীরের মাজারে’ একজন ভিখারি না খেয়ে মরণাপন্ন অবস্থা।
সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সদস্যরা সেখানে ছুটে গেছেন খাবার নিয়ে।’

‘দোয়া করবেন, এই জেলায় ২৯৮ জন করোনা আক্রান্ত, তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন’- বলেন পুলিশ সুপার।