ঝিনাইদহ ডাকবাংলায় ঈদের বাজারে মেয়েদের উপছে পড়া ভিড়
সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে উৎসব। এই উৎসবকে আরো রাঙাতে,আনন্দময় করে তুলতে ত্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে নানা প্রস্তুতি। ঈদে চাই নতুন নতুন পোশাক।যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে এ রেওয়াজ চালু আছে।
তাই ঘরে ঘরে নতুন জামা-জুতা কেনার ধুম পড়ে গেছে। পছন্দমতো নতুন নতুন জামা-কাপড়, জুতা ও প্রসাধনী কিনতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডাকবাংলার সব মার্কেটগুলোতে এখন উপছে পড়া ভিড়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে শর্ত সাপেক্ষে দোকান-পাট খুলে দেয়ার ঘোষণার পর থেকেই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা-বাজার ও সড়কে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের উপছে পড়া ভিড় দেখা যায়।
বাজারের মুদি বা অন্য দোকানগুলোতে ভীড় না থাকলেও রোববার সকাল ১০ টার দিকে ডাকবাংলা বাজারের রুপম গার্মেন্টস,প্রোঃ আঃ রহমান কামাল, ইয়াদুল সু-সেন্টার,
প্রোঃ আবুল কামাল,খন্দকার ইলেকট্রনিক এন্ড ভিডিও,নিউ একতা সুজ,প্রোঃ সালাম,ফাতেমা কসমেটিকস্ মেহেদী হাসান, মুন মিলন কসমেটিকস, মিমি গার্মেন্টস,বিশ্বাস বস্ত্রালয়,ছিট ভান্ডার, সুমন গার্মেন্টস এন্ড বস্ত্রালয়, একতা গার্মেন্টস,আশরাফুল গার্মেন্টস,আধুনিক বস্ত্রালয় এন্ড বোরকা হাউস।
নকশীকাঁথা, সবুজ গার্মেন্টস,হেলাল গার্মেন্টস এন্ড বোরকা হাউস, শাহানাজ গার্মেন্টস,চায়না কালেকশন বোরকা হাউস, হাসান গার্মেন্টস্ ইত্যাদি দোকান গুলোতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের প্রচণ্ড ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
তবে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্য বিধির কোনো বালাই লক্ষ্য করা যায়নি। এবং সড়কগুলোতে গ্রামীণ পরিবহন আগের মতোই নেমে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর নারায়নপুর ত্রিমহনী, ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে নাম করা মিনি শহর ডাকবাংলা বাজারের ছোট বড় সকল হাট-বাজারগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির শর্ত বা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে দোকান মালিকেরা দেধারছে লুটে নিচ্ছে (ব্যবসা-ই) তাদের স্বার্থ।
এতে মহা বিপাকে পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষ,ধারণা করছেন এলাকার সচেতন মহলেরা।
আরোও দেখা গেছে, দোকান্দারসহ বেশির ভাগ মানুষেরই মুখে নেই মাক্স ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা। মার্কেটগুলোর প্রবেশ পথে নেই হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা। বিশেষ করে ছেলেদের তুলনায় নারী ও শিশুদের উপস্থিতির হার বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে দোকান চালানোর জন্য চেষ্টা করছি।
কেনা বেচা সম্পর্কে বলেন,প্রায় আগের মতোই দোকানে বিত্রুি হচ্ছে।
এবিষয়ে ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আঃ রহমান কামাল প্রতিবেদককে জানান,আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্রেতাদের দাঁড়াতে বা বসতে বললেও তারা সেদিকে কোনো খেয়ালই করছেন না।
সামনে ঈদ যার কারণে এখন একটু ভীড় বেশি।
ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজিব শেখ প্রতিবেদককে বলেন,এভাবে যদি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির শর্ত বা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বাজার বা মার্কেট গুলো চলতে থাকে তাহলে এই করোনার ভয়াবহ থাবা থেকে কেউই রেহায় পাবে না।
সুতরাং ঝিনাইদহের সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের নিকট আমিসহ এলাকার সচেতনও শিক্ষিত মহলের দাবি আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোর মতো ঝিনাইদহ জেলাকেও লক ডাউনের আওতাধীন আনা হোক।
তবে এ বিষয়ে ডাকবাংলা বাজার দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সচেতনতার জন্য নির্দেশিকা সম্বলিত ব্যাপক প্রচারের জন্য মাইকিং করে যাচ্ছেন, সোনা (পাগলা) মিয়া এবং শরিফুল ইসলাম (গোপাল)।