টেকনাফে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যয়: চরম ভোগান্তিতে গ্রাহক
জিয়াবুল হক, টেকনাফ
পাশ্ববর্তীদেশ মিয়ানমারের, মন্ডু, আরাকান রাখাইন রাজ্য থেকে সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দলে দলে রোহিঙ্গা নারী পুরুষ আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশ সরকার মানবিক দৃষ্ঠিকোণ বিবেচনা করে মানবতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়।
উখিয়া-টেকনাফ দুই উপজেলায় ৩২টি আশ্রয় শিবির ক্যাম্পে প্রায় ১২ লাখের চেয়ে বেশী বসবাস করে আসছে।
১০৫টি সরকারী ও বেসরকারী (এনজিও) সংস্থা তাদের সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ দীর্ঘ দুই বছর পার করলেও তাদের স্বদেশে ফেরৎ নিতে কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছেনা। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ।
জানা যায়, মিয়ানমার সরকার বরাবরই বলে আসছে, রোহিঙ্গারা এদেশের নাগরিক নয় তারা মূলত: বাংলাদেশী নাগরিক।
বিশ্বখাদ্য সংস্থা (ডব্লিউ এফপির জরীপ মতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের এ দুই বছরে প্রায় ৪৫ হাজার শিশু জন্ম গ্রহন করেছে এবং মাতৃগর্ভে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু অনাগত অবস্থায় রয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে উখিয়া-টেকনাফ এই দুই উপজেলায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রেক্ষিতে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ।
উল্লেখযোগ্য গুলো হচ্ছে, পাহাড়, প্রধান সড়ক, বনজ সম্পদ, স্থানীয় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি, মাদক, চুরি, ডাকাতী, অপহরণ, মানব পাচার, স্থানীয় শ্রম বাজার, নিত্যপণ্যের দাম আকাশ চুম্বি।
এবং আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী মোবাইল সীম ব্যবহার করার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা ও মাদক প্রবেশ সহ নানা অপকর্ম বৃদ্ধির ফলে আইন শৃংখলা বাহিনী বাংলাদেশী সীম ব্যবহারে নিয়ন্ত্রন আনে।
মোবাইল টাওয়ারে ফ্রি কোয়েন্সি এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক সংশিষ্ট কমে দিলে এর প্রভাব পড়ে স্থানীয়দের উপর।
অথচ: এর পর থেকে রোহিঙ্গারা বিকল্প মিয়ানমারের মোবাইল সীম ব্যবহার করে আসলেও এদের অপকর্ম ঠেকাতে আইন শৃংখলা বাহিনীর লোকেরা হিমশিম খাচ্ছে।
একমাত্র রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ স্থানীয় এবং অনুপ্রবেশের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য স্থানীয় সচেতন মহল দায়ী করেছে এনজিওদের।
রোহিঙ্গাদের কারণে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে বর্তমানে মোবাইল গ্রাহকেরা।
কেননা উখিয়া-টেকনাফে প্রায় ৬ লাখের বেশী মানুষ এবং বর্তমানে পর্যটন মওসূম।
১২ লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে আজ মোবাইল গ্রাহকেরা নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।