দুই ঘন্টার মধ্যে খুনের রহস্য উদঘাটন নাটোর জেলা পুলিশের
আমিরুল ইসলাম, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
ভিডিও গেম খেলার নেশায় এনড্রয়েড ফোন চুরি করতে গিয়েই খুন করা হয় শহরের চৌধুরি বাড়ির বৃদ্ধা জাহানারা বেগমকে।
বৃদ্ধা জাহানারা বেগমের অপ্পো টাচ মোবাইল ফোন চুরি করতে গিয়েই সোহানকে চিনে ফেলার কারনে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে সোহান।
ঘটনার দুই ঘন্টার মধ্যে সোহানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করার পর ১৬৪ধারা জবান বন্দিতে যুবক সোহান নিজের দোষ স্বীকার করে।
শনিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই তথ্য জানান।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, বৃদ্ধা জাহানারা বেগমের এনড্রয়েড মোবাইল ফোনের ওপর লোভ ছিল যুবক সোহানে। ঘটনার দিন সে ভোরে বৃদ্ধা জাহানারা বেগমের ঘরের জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে।
এসময় বৃদ্ধার মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ঘুম থেকে জেগে উঠে সোহানকে ঘরে দেখতে পায়।
এসময় বৃদ্ধা বলেন, তুই এখানে কেন, কিভাবে ঘরে প্রবেশ করলি বলে চিৎকার করতে থাকে। এসময় সোহান ভয়ে পেয়ে ঘরের ভিতর কাঠের র্যাকে থাকা ধারালো ছুরিয়ে জাহানারা বেগমের পিঠে আঘাত করে।
এসময় জাহানারা বেগম বাধা দিলে এলোপাতারি ভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে জেলা পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনার দুই ঘন্টার মধ্যে একযোগে অভিযান চালিয়ে শহরের স্টেশন বাজার এলাকা থেকে সোহানকে আটক করে।
এসময় চুরি করা মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য। পরে আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সোহান।
এসময় প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন, নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, সদর থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম, ওসি ডিবি আনারুল ইসলাম, সদর থানার ওসি তদন্ত আবু বক্কর সিদ্দিক সহ অন্যান্যেরা।
উল্লেখ্য, গত ২৫জুন রক্তাক্ত অবস্থায় শহরের চৌধুরি বাড়ি থেকে বৃদ্ধা জাহানারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় নিহতের ছেলে আমান খান চৌধুরি ওরফে লুটু বাদী হয়ে সদর থানায় আসামী সোহান সহ অজ্ঞাতদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।