আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

নান্দাইল খোলা বাজারে ধানের মূল্য বেশী থাকায় সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অপূর্ণের সম্ভাবনা ॥

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় খোলা বাজারে ধানের মূল্য বেশী থাকায় কৃষকরা সহজেই বিভিন্ন পাইকার ও মহাজনদের কাছে ধান বিক্রি করে দিচ্ছে।

এতে সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের ৩ হাজার ৮৯৯ মেট্টিক টনের লক্ষ্যমাত্রা অপূর্ণ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানাগেছে, সরকার যথাসময়ে ধান ক্রয় করার পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারনে বিভিন্ন ক্রেতারা আগে ভাগেই ধান ক্রয় করতে শুরু করে দিয়েছে।

এতে করে ১১ই জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নান্দাইল উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামে মাত্র ৩০জন কৃষক ৩০ টন ধান বিক্রয় করার তথ্য পাওয়া গেছে।

যদিও লটারীর মাধ্যমে নান্দাইল পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়ন থেকে ৩ হাজার ৮৯৯ জন কৃষক বাছাই করা হয়েছিল।

সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখাগেছে, খোলাবাজারে ৮৫০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রী হচ্ছে।

এতে চাষীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আচারগাঁও ইউনিয়নের কৃষক মঞ্জুরুল হক জানান, “গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম রেকর্ড হওয়ায় এবার কৃষকদের ভাগ্য খুলেছে।
খোলা বাজারে ৮/৯শত টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত ধান বিক্রি হচ্ছে।

সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে নিজ খরচে ধান নিয়ে একই দামে বিক্রী না করে সহজেই এলাকাতেই বিক্রী করে দিচ্ছে কৃষকরা।” নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক কয়েকজন কৃষক জানান, “সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয় করতে গেলে বিল পেতে দেরী সহ নানান ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়।

আমরা সহজ সরল মানুষ এতোশত পেচঁপুচের দরকার নাই। ধান দিমু আর নগদ টাকা নিমু। এটাই সহজ, নগদ টাকা কম হলেও ভালো।” যার ফলে সরকারের কাছে ধান বিক্রয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আব্দুল বারিক জানান, “সরকার সঠিক সময়ে ধান-চাল ক্রয়ের পদক্ষেপ হাতে নেওয়ায় এবার শুরু থেকেই ধানের ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা।

ওদিকে বিভিন্ন ধান ক্রেতাগণ করোনা ভাইরাসের কারনে আগেভাগেই ধান ক্রয় করা শুরু করে দেওয়ায় ধানের বাজার মূল্য বেশী।
যার ফলে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে একটু জটিলতা থাকলেও শীঘ্রই লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হবে বলে আশা ব্যক্ত করছি।