আপডেট নিউজ:

দি ডেইলী বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

‌পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই, নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে?

দারাজের পুরষ্কার, এমন অজানা লিংকে কেউ ভুলেও ক্লিক বা প্রেবেশ কিংবা শেয়ার করবেন।

ব্রাজিলকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা শিরোপা জয় আর্জেন্টিনার

সর্বোচ্চ পেশাদারী উৎকর্ষতা অর্জনে মনোযোগ দিন : সেনা সদস্যদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছে: ওবায়দুল কাদের

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খোকন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রিফাত হত্যা মামলা: মিন্নি, ফরাজি, রাব্বি, সিফাত, হৃদয় ও হাসান এর মৃত্যুদণ্ড। বাকি ৪ আসামি খালাস।

ধর্ষণ মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গ্রেপ্তার

লালপুরে উপজেলা কর্মচারিদের হাতে সাংবাদিক নাজেহাল

আমিরুল ইসলাম,নাটোর জেলা প্রতিনিধি:

লালপুর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভার ছবি তোলার অপরাধে স্থানীয় ২ সংবাদ কর্মির মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারিরা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানিন দ্যুতির সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সকালে লালপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে শুরু হয় মাসিক সাধারণ সভা। সভায় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা চলাবস্থায় করোনাকালীন ত্রানের অনিয়ম নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত দৈনিক ভোরের দর্পনের লালপুর প্রতিনিধি নাহিদ হোসেন ও অনলাইন সংবাদ কর্মি ইউসুফ আলী তাদের মোবাইলে বিষয়গুলো ধারণ করতে থাকেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারিরা ওই ২ সংবাদ কর্মির মোবাইল কেড়ে নিয়ে ইউএনওর কাছে জমা দেন।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান,মাসিক সাধারণ সভায় করোনাকালীন ত্রানের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিতর্ক শুরু হয়। ২ সংবাদ কর্মি সেগুলো তাদের মোবাইলে ধারণ করার চেষ্টা করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পরিষদের কর্মচারীরা তাদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেন।

স্থানীয় দুই সাংবাদিকের মোবাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জিম্মায় থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সভায় উপস্থিত নাটোর-০১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল জানান, সেখানে ভিডিও করতে নিষেধ করা হয়েছিলো। তবে মোবাইল কেড়ে নেয়ার বিষয়টি তার জানা নাই বলে জানান।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ওই দুই জন সাংবাদিক কি না তা তিনি নিশ্চিত ছিলেন না। এছাড়া আইনশৃংখলা সভা চলছিল।তারা এ সভার সদস্য নন। সে কারনে মিটিং চলা পর্যন্ত তাদের মোবাইল রেখে দেয়া হয়েছিলো। মিটিং শেষে তাদের খুজে পাওয়া যায়নি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তারা মোবাইল নিতে আসেনি।

এদিকে বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা।চলমান করোনা সংকটে প্রশাসনের সাথে একাট্টা হয়ে কাজ করে চলেছেন সংবাদ কর্মিরা।এসময়ে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটাই উত্তম ছিল বলে মনে করেন তারা।