সীমান্তে আটকা পড়ে আছে শত শত ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় একদিকে যেমন দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে অন্যদিকে ভারতের সীমান্তে আটকা পড়েছে ব্যবসায়ীদের আমদানি করা শত শত ট্রাকভর্তি পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ অতি দ্রুত খালাস করতে না পারলে তা পচে নষ্ট হয়ে যাবে।
![ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি বন্ধ, পেঁয়াজের বাজারে আগুন](https://i0.wp.com/thedailybarta.com/wp-content/uploads/2020/09/Onion.jpg?resize=800%2C500&ssl=1)
রপ্তানি বন্ধের পর গত সোমবার থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ও দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর দিয়ে কোনো ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে ঢোকেনি। অথচ এসব সীমান্তের ভারতের অংশে আটকে আছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমদানি করা পেঁয়াজ।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এলসির মাধ্যমে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ রপ্তানির বন্ধের আগেই কেনা হয়েছে। কিন্তু এখন রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে এসব পেঁয়াজ ভারত বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ ভারতের ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গত রবিবার ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য টেন্ডার করা হয়েছিল। আশা করছি, সেই পেঁয়াজ ভারত সরকার বাংলাদেশে রপ্তানির অনুমতি দেবে। তা না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এক থেকে দুই দিনের মধ্যে বর্ডারে যেগুলো আটকা আছে সে বিষয়ে সমস্যার সমাধান হবে।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের পেঁয়াজের বাজারে যে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে তা এখনো কমেনি। অধিকাংশ ক্রেতাই দাম আরো বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ কিনছেন। গতকালও রাজধানীর বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: পেয়াজের বাজারে আগুন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)-র মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে।
তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনবেন না। পেঁয়াজ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
টিসিবি এবার বড় ধরনের পেঁয়াজের মজুত গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে টিসিবি।
আগামী বছর মার্চ পর্যন্ত টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি করবে বলে তিনি জানান।